ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ইউএনএইচসিআরের মন্তব্যের প্রতিবাদ মায়ানমারের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৮ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৫
ইউএনএইচসিআরের মন্তব্যের প্রতিবাদ মায়ানমারের সংগৃহীত

ঢাকা: রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে মায়ানমার।

অভিবাসন সমস্যা নিরসনে আলোচনা করতে শুক্রবার (২৯ মে) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বৈঠকে বসছেন ১৭টি দেশের প্রতিনিধিরা।

এসময়ই এই প্রতিবাদ জানায় মায়ানমারের প্রতিনিধিদল।

অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, পাপুয়া নিউ গিনি, শ্রীলংকা, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও ইরানের প্রতিনিধিরা এই ব্যাংকক সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।

এছাড়া জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর, আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা আইওএম, জাতিসংঘের অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইমের (ইউএনওডিসি) প্রতিনিধিরা ব্যাংকক বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।

বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় ‘রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সাগর পাড়ি দিতে বাধ্য করা হচ্ছে’ জাতিসংঘ শরনার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের এ মন্তব্যের জোর প্রতিবাদ করে মায়ানমার।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহা পরিচালক এইচতিন লাইন বলেন, অভিবাসী ইস্যুতে আপনারা শুধু আমাদের দেশকেই দোষারোপ করতে পারেন না। এখানে অন্যদেরও দায় রয়েছে।

সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে নৌ-পথে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া যাওয়ার বিষয়টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজরে আসে। থাইল্যান্ডের গহীন অরণ্যে শত শত গণকবর পাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের পক্ষ থেকে অভিবাসন সমস্যা সমাধানে চাপ আসে। এরপর সাগরে ভাসমান হাজার হাজার অভিবাসীকে উদ্ধারে তৎপর হয় থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া।

জাতিসংঘ শরনার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দাবি, আন্দামানে এখনও ভাসমান অবস্থায় মানবেতর দিনযাপন করছেন আরও সাড়ে তিন হাজারের বেশি অভিবাসী।

মায়ানমারের সরকারের প্রতি অভিযোগ ওঠে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নিপীড়নের শিকার হয়েই সাগর পাড়ি দিতে বাধ্য হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৫
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।