ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ভারতে তাপদাহে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ২০০০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৫ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৫
ভারতে তাপদাহে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ২০০০

ঢাকা: প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে ভারত। সপ্তাহকালের বেশি সময় ধরে এই তাপদাহে প্রতিদিনই বাড়ছে নিহতের সংখ্যা।

শুক্রবার (২৯ মে) পর্যন্ত প্রাণহানির সংখ্যা দুই হাজারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রাণহানির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্র প্রদেশে।

ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতর ও স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শুক্রবার (৩০ মে) পর্যন্ত প্রাণহানির সংখ্যা দুই হাজার পর্যন্ত গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্র প্রদেশেই মৃত্যু হয়েছে দেড় হাজারের বেশি মানুষের।

অন্ধ্র প্রদেশের নেলোরে, প্রকাশম, বিজয়নগরম, কৃষ্ণা, কাদপা, পশ্চিম গোদাবরি, গুনতুর, বিশখাপত্মম, শ্রিককুলাম ও অনন্তপুর, চিত্তোর ও কুর্নল থেকে প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।

আর তেলেঙ্গানার আদিলাবাদ, নিজামাবাদ, করিমনগর, মেদাক, বারঙ্গল, খাম্মাম, রঙ্গারেড্ডি, হায়দরাবাদ, নালগোনদা ও মাহবুবনগর জেলা থেকে, আর অন্ধ্র প্রদেশের পূর্ব গোড়াবাড়ি, পশ্চিম গোড়াবাড়ি, কৃষ্ণ, গুন্তুর, প্রকাশম, নেলোর, চিত্তর, কাদাপা ও কুর্নুল জেলা থেকে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।

দেশটির স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, তাপদাহে বেশিরভাগ মৃত্যুর কারণ আমাশয় ও হিটস্ট্রোক।

হাসপাতালগুলোয় জরুরি চিকিৎসেবা দেওয়ার জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চিকিৎসকদের শুক্রবারের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে খাবার পানি সরবরাহের জন্য ভ্রাম্যমান কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

দিল্লির জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক চরন সিং বলেন, এই অবস্থায় সবচেয়ে জরুরি কাজ হল নিজেকে রক্ষা করা। খুব প্রয়োজন না হলে বাইরে না থাকা। সেই সঙ্গে বেশি বেশি তরল জাতীয় খাবার খাওয়া।

ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতর চলমান তাপদাহকে ‘প্রাকৃতিক বিপর্যয়’ উল্লেখ করে তা আরও অন্তত একদিন বা তার বেশি অব্যাহত থাকতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে। পরবর্তী সপ্তাহে মৌসুমি বায়ুর দেখা মিলতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৫/ আপডেট: ১৬০০ ঘণ্টা
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।