ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

৩ দিন পর দেখা মিললো এরদোয়ানের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৯ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৫
৩ দিন পর দেখা মিললো এরদোয়ানের

ঢাকা: প্রায় সোয়া দশকেরও বেশি সময় ধরে তুরস্কের টিভি চ্যানেলগুলোতে যার মুখ সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে, যিনি সবসময় বুলি ছেড়ে আলোচনায় থেকেছেন- সেই রজব তৈয়্যব এরদোয়ানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না প্রায় তিন দিন ধরে! সদ্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচনে বড় ধাক্কা খাওয়ার পর তুরস্কের ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একেপি) নেতা ও প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান প্রায় তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। অবশেষে তার দেখা মিলেছে।



গত রোববার (৭ জুন) তুরস্কে গুরুত্বপূর্ণ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৩ সাল থেকে তিনটি নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করলেও এবার সেই অর্জন ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় একেপি। এই ধাক্কা দলটির সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা ও প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের জন্যও অপ্রত্যাশিত ছিল।

তাই, আগের তিন দফায় নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণার পর সমর্থকদের উদ্দেশে তাকে ভাষণ দিতে দেখা গেলেও এবার ভাষণ দেওয়া তো দূরে, প্রকাশ্যেই দেখা যায়নি এরদোয়ানকে।

প্রায় একমাস ধরে নির্বাচনী প্রচারণায় নেতৃত্ব দিয়ে এমন ফলাফলের পর এরদোয়ান ৭ জুন সকাল থেকে ১০ জুন (বুধবার) সকাল পর্যন্ত লাপাত্তা থাকেন। অর্থাৎ নির্বাচনের দিন সকালে ইস্তাম্বুলের একটি ভোটকেন্দ্রে সবশেষ দেখা গেলেও আর পাওয়া যাচ্ছিল না তাকে। মনে করা হতে থাকে, তিনি নিজেকে রাজধানী আঙ্কারার ১১৫০ কক্ষবিশিষ্ট প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে আবদ্ধ রেখেছেন।

এই অবস্থায় মজার মজার টিকার দেখা যায় স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলোতে। এরদোয়ান কতো সময় ধরে লাপাত্তা রয়েছেন সে হিসাবও তুলে ধরা হতে থাকে টিভির টিকারগুলোতে। যেমন- স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৩৬ মিনিটে একটি টিভির টিকারে বলা হয়, ‘এরদোয়ানকে দেখা যাচ্ছে না ২ দিন, ১৯ ঘণ্টা, ৬ মিনিট ও ৪১ সেকেন্ড ধরে’।

অবশ্য, ওই টিকারগুলো ভাসতে থাকার কিছুক্ষণ পর সবাইকে অবাক করে এরদোয়ান তার সবচেয়ে কড়া সমালোচক দল বামপন্থি রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। ধারণা করা হচ্ছে, একেপির সরকার গঠনের বিষয়ে আলাপ করতে ওই বৈঠকে বসেন তিনি।

২০০৩ সালে ক্ষমতায় আসার পর তিন মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে এখন প্রেসিডেন্টের কুরসিতে আসীন এরদোয়ান। তিনি তুরস্ককে প্রেসিডেন্টশাসিত রাষ্ট্রে পরিণত করতে ৯২ বছরের পুরোনো সংবিধান পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। নির্বাচনকে ঘিরে এই উচ্চাকাঙ্ক্ষাও প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এজন্য সংসদের ৫৫০ আসনের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন ছিল একেপির। কিন্তু ২৭৬ আসনের প্রয়োজন থাকলেও এরদোয়ানের দল পায় ২৫৮ আসন। আর সিএইচপি পায় ১৩২ আসন। এছাড়া, ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট পার্টি (এমএইচপি) পায় ৮১ আসন এবং কুর্দি সমর্থিত বামপন্থি দল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (এইচডিপি) পায় ৭৯টি আসন। এই ফলাফল এরদোয়ানের সমর্থকদের মনোবলও ভেঙে দিয়েছে বলে জানাচ্ছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৫
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।