ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কুকুর উৎসবে চীনে কুকুর খাওয়ার ধুম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২১ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৫
কুকুর উৎসবে চীনে কুকুর খাওয়ার ধুম ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বছরের সবচেয়ে বড় দিনটাকে উৎযাপন করতে চীনের গুয়াংজি ঝং প্রদেশে পালিত হয়ে গেল ‘ইউলিন উৎসব’। কুকুরের মাংস খাওয়ার ধুম পড়ে যায় বলে বিশ্বব্যাপী এটি ‘কুকুর উৎসব’ বলেই বেশি পরিচিত।

বছরের সবচেয়ে বড় দিন, ২২ জুনকে উযাপন করতে চীনের এই প্রদেশটিতে প্রতিবছর পালিত হয় ইউলিন উৎসব। এ বছরও সোমবার (২২ জুন) পালিত হয়ে গেল উৎসবটি। উৎসবে কুকুরের মাংস খাওয়ার উৎসব হলেও এর থেকে রেহাই নেই বেড়ালদেরও। উৎসবকে কেন্দ্র করে কাবাব হতে হয় হাজার হাজার বেড়ালকেও। বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় উঠলেও ভ্রুক্ষেপ নেই গুয়াংজি ঝংয়ের অধিবাসী কিংবা কর্তৃপক্ষের। পরিবেশবাদী, প্রাণি অধিকার সংগঠন ও পশুপ্রেমীদের প্রতিবাদকে ঐতিহ্যের দোহাই দিয়ে বুড়ো আঙ্গুল দেখানো হয় এখানে।
উৎসবটির প্রতিবাদে সোমবার গুয়াংজি ঝংয়ের কাছে ১০ জন প্রাণি অধিকার কর্মী ‘কুকুরের মাংসের অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ কর’, ‘কুকুরের অবৈধি ব্যবসায়ীদের শাস্তি দাও’ লেখা ব্যানার হাতে দাঁড়ায়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে ২০ জনের মতো অচেনা মানুষের একটা দল এসে তাদের তেড়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

ওয়াশিংটনভিত্তিক অ্যানিমেল ক্রুয়েলটি ইস্যুজের পরিচালক অ্যাডাম প্যারাস্যান্ডোলা বলেন, উৎসবে হত্যা করা বেশিরভাগই চুরি যাওয়া পোষাপ্রাণি।

এক হিসাবে জানা গেছে, খাওয়ার জন্য চীনে বছরে কমপক্ষে ১ কোটি কুকুর হত্যা করা হয়। এর মধ্যে ১০ হাজারই হত্যা করা হয় ইউলিন উৎসবে। পরিবেশবাদিরা জানিয়েছেন, ইউলিনে প্রকাশ্যে কুকুর-বেড়াল বেচাকেনা হয়।

বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ জানিয়েছে, ঐতিহ্যের দোহাই দিয়ে এ উৎসব চললেও আসলে এর কোনো ঐতিহ্যগত ভিত্তি নেই। ২০১০ সালে উৎসবটির প্রচলন ঘটানো হয়। অনেকের অভিযোগ, কুকুরের মাংসের ব্যবসায় আরও লাভের মুখ দেখতেই এই নারকীয় উৎসবের প্রচলন ঘটিয়েছে ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৫
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।