ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

হুমকির মুখে চীনের মহাপ্রাচীর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৪ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৫
হুমকির মুখে চীনের মহাপ্রাচীর ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বাইরের আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করতে খ্রিষ্টপূর্ব ২২০-২০৬ অব্দে প্রাচীরটি নির্মান শুরু করেছিলেন সম্রাট কিন সিহুয়াং। শতকের পর শতক এই প্রাচীর রক্ষা করে এসেছে চীনা ভূখণ্ডকে, আকর্ষণ করেছে পর্যটকদের মনযোগ।

প্রায় আড়াই হাজার বছরের বুড়ো সেই প্রাচীর এখন হুমকির মুখে।

১৯৮৭ সালে ইউনেস্কো ঘোষিত এই মহাপ্রাচীরের ৩০ শতাংশই গায়েব হয়ে গেছে বলে চীনের সংবাদসংস্থা বেইজিং টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। কীভাবে গায়েব হল এই বিশাল অংশ? অন্যতম কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, প্রাকৃতির বিপর্যয় ও প্রাচীর থেকে স্থানীয়দের ইট চুরি।

বেশ আগে এক সমীক্ষায় জানানো হয়, সবগুলো শাখাসহ মহাপ্রাচীরের মূল দৈর্ঘ্য ২১ হাজার ১৯৬ কিলোমিটার। তবে অনেকেই এ তথ্য মানতে রাজি নন। তাদের মতে দৈর্ঘ্য আরও কম। তবে ক্ষয়ের কারণে বর্তমানে এর দৈর্ঘ্য ৯ হাজার কিলোমিটারে এসে দাঁড়িয়েছে।

মূল দৈর্ঘ্য যা-ই হোক, মহাপ্রাচীরের ৬ হাজার ৩শ’ কিলোমিটারের কাজ হয়েছিল ১৩৬৮ সাল থেকে ১৬৪৪ সালের মধ্যে মিং রাজত্বের সময়। মঙ্কু হামলা থেকে দেশকে রক্ষা করতেই মিং সম্রাটরা প্রাচীরের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিতে মন দেন। খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকে সম্রাট কিন সিহুয়াং এর নির্মান কাজ শুরু করেও তা স্থগিত করে দিতে বাধ্য হন রাজত্ব মঙ্গোলিয়া পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ায়।

রোববার (২৮ জুন) প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মহাপ্রাচীরে গায়ে আগাছা জন্মানোয় এর ক্ষয় আরও তরাণ্বিত হয়েছে। এর টাওয়ারগুলোর বেশিরভাগেরই অবস্থা অত্যন্ত নাজুক।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, মহাপ্রাচীর থেকে ইট চুরি করলে ৫ হাজার ইউয়ান (৬২ হাজার ৬৭২ টাকা) জরিমানার আইন থাকলেও তার প্রয়োগ নেই। ফলে স্থানীয়দের ইট চুরি দিন দিন বেড়েই চলেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৫
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।