ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

জাতিসংঘে ইসরায়েলবিরোধী ভোটে ‘বিরত’ ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০১৫
জাতিসংঘে ইসরায়েলবিরোধী ভোটে ‘বিরত’ ভারত

ঢাকা: প্রথমবারের মতো জাতিসংঘে ইসরায়েলবিরোধী ভোট দেওয়া থেকে ‘বিরত’ থাকলো উদীয়মান পরাশক্তি ভারত।

গত বছর গাজায় ইসরায়েলের অভিযানের ওপর জাতিসংঘ তদন্ত কমিশনের তৈরি করা প্রতিবেদন শুক্রবার (৩ জুলাই) জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) পক্ষ থেকে অনুমোদনের জন্য উত্থাপিত হলে এ অবস্থান নেয় এশিয়ান পরাশক্তি দেশটি।



প্রতিবেদনটিতে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানানো হয়।

উত্থাপিত হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত বেশ কিছু রাষ্ট্রসহ মোট ৪১টি দেশ এ প্রতিবেদন অনুমোদনের জন্য ভোট দেয়। তবে ভারতসহ পাঁচটি দেশ এ ব্যাপারে ‘বিরত’ থাকে। বিরত থাকা বাকি চারটি দেশ হলো- কেনিয়া, ইথিওপিয়া, প্যারাগুয়ে ও মেসিডোনিয়া। তদন্ত প্রতিবেদনটি অনুমোদনের বিপক্ষে ভোট দেয় কেবল ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।

ভারতের এ ‘বিরত’ থাকার সিদ্ধান্তকে যখন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘ইসরায়েলের জন্য অভূতপূর্ব অর্জন’ বলে উল্লেখ করছে, তখন নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ‘ফিলিস্তিনকে সহযোগিতা ইস্যুতে ভারতের দীর্ঘদিনের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন নেই’।

ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে মোদির সরকারকে তাদের পশ্চিম-এশিয়া নীতির বিষয়ে জনগণকে বোঝাতে গলদঘর্ম হতে হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কে সরকার নতুন কোনো পথ খুঁজছে না বলে বিজেপি জোট দাবি করলেও ২০১৪ সালে ইসরায়েলের গাজা অভিযানের ওপর জাতিসংঘের তৈরি করা অপর এক প্রতিবেদনে অনুমোদন দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে তারা।

তবে, এবার সেই সমালোচনার পথ বন্ধ করে দিল বিজেপির জোট সরকার। ভোট দেওয়া থেকে ‘বিরত’ থাকার যুক্তি দিয়ে ভারতের তরফে বলা হচ্ছে, জাতিসংঘ তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কার্যক্রমে সহযোগিতা করতে বলায় নয়াদিল্লি ভোটের ব্যাপারে নীরব থেকেছে। কারণ ভারত ‍আইসিসিকে মানে না।

সংবাদমাধ্যম বলছে, ফিলিস্তিন ইস্যুতে নয়াদিল্লির নীতির কোনো পরিবর্তন নেই দাবি করা হলেও তাদের নীতির পরিবর্তন দৃশ্যমান ইসরায়েল ইস্যুতে। এর প্রমাণ শুক্রবার জাতিসংঘে কার্যত ইসরায়েলবিরোধী ভোটে ‘বিরত’ থাকা। আরও পোক্ত প্রমাণ আসছে চলতি বছরের শেষ অথবা আগামী বছরের শুরুর দিকে। এ সময়ে ইসরায়েল সফরে যেতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১৯৯২ সালে দু’দেশের মধ্যে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এ সফরে যাবেন মোদি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৫
এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।