ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কচ্ছপের শোকে ম্যানেজারকে গুলিতে ঝাঁঝরা করলেন কিম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০১৫
কচ্ছপের শোকে ম্যানেজারকে গুলিতে ঝাঁঝরা করলেন কিম সংগৃহীত

ঢাকা: কিছুদিন আগেই খবরে ‌উঠে এসেছিল অনুষ্ঠান চলাকালে ঘুমানোর অপরাধে বিমান বিধ্বংসী কামানের গোলার আঘাতে তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন নিজের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে। এবার সংবাদ শিরোনাম হলো উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনের আরেক নৃশংসতার খবর।

কচ্ছপের শোকে তিনি গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছেন এক খামার ম্যানেজারকে।

ঘটনাটি চলতি বছর মে মাসে ঘটেছে বলে দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থাগুলো। হত্যার কথা স্বীকার না করলেও এ বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যমগুলোও খবর প্রকাশ করেছে।

উত্তর কোরিয়ার সাবেক একনায়ক কিম জং ইলের ইচ্ছানুসারে কয়েক বছর আগে তার ছেলে ও বর্তমান একনায়ক শাসক কিম জং-উন তিয়াডংগংয়ে কচ্ছপের বিশেষ প্রজাতি ‘টেরাপিন’-এর একটি খামার তৈরি করেন।

গত মে মাসে খামারটি পরিদর্শনে যান কিম। তাকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সবকিছু দেখাচ্ছিলেন খামারের ম্যানেজার নিজেই। কিছুক্ষণ পরই কিম জানতে পারেন, কচ্ছপগুলোর ঠিকভাবে যত্ন করা হচ্ছে না। খাবারের অভাবে কয়েকটি ছোট কচ্ছপ মারাও গেছে। আর এতেই মেজাজ বিগড়ে যায় তার।

উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, খামারের ম্যানেজারকে এসময় প্রচণ্ড বকাঝকা করেন কিম।

ম্যানেজার বোঝানোর চেষ্টা করেন, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে খাবার ব্যবস্থাপনায় কখনও কখনও টান পড়ে। বড় কচ্ছপগুলো এ পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারলেও ছোটগুলো পেরে ‍ওঠেনি।

ম্যানেজার ও খামার কর্মীদের বকাঝকা করছেন কিম, এমন কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করেছিল উত্তর কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যমগুলো। তাদের খবর ছিল এ পর্যন্তই।

কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ঘটনা এ পর্যন্ত থেমে থাকেনি। প্রচণ্ড রাগারাগি করে তিয়াডংগং খামার থেকে কিম জং-উন বেরিয়ে আসার পরপরই গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় ম্যানেজারের দেহ।

তবে এ খবরও প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে উড়িয়ে দেওয়ার মতো ভিত্তিহীন কোনো খবর কি না, তা যাচাইয়ের কোনো উপায় নেই। চলতি বছর মে মাসেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিউ ইয়ং চোলকে সত্যিই হত্যা করা হয়েছে কি না, তা নিয়ে সৃষ্টি হয় বিতর্ক। এর অন্যতম কারণ, উত্তর কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যমগুলো একনায়ক শাসকের বিপক্ষে যায়, এমন কোনো সংবাদ পরিবেশন করে না। আর দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলোয় পরিবেশিত খবরের সত্যতা যাচাইয়ের কোনো উপায় নেই।

দক্ষিণ কোরিয়ার হিসাবে, কিমের বিরাগভাজন হয়ে গত দু’বছরে প্রায় ৭০ জন সরকারি কর্মীর প্রাণ গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৫
আরএইচ

** বেঁচে আছেন উ.কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী?
** এবার প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে কামানে উড়িয়ে দিলেন কিম জং উন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।