ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

নেতানিয়াহু উবাচ!

বাংলানিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৫
নেতানিয়াহু উবাচ!

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সবাই ‘তেল আবিবের কসাই’ বলেই চেনে। ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি তার অবর্ণনীয় নিষ্ঠুরতার কথা দুনিয়ার সবাই জানে।

শুধু নিষ্ঠুরতাই নয়, বিভিন্ন সময় বেফাঁস মন্তব্য করেও সমালোচিত তিনি। মিডিয়ার মনযোগ কাড়ার জন্য কোনো না কোনো স্ট্যান্টবাজি তিনি করবেনই করবেন। এটা তার মজ্জাগত। এবার তিনি যা করেছেন তা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। দুনিয়াবাসীকে এবার তিনি এক নতুন ‘তত্ত্ব’ গেলাতে চেয়েছেন। আর তা হচ্ছে, জার্মানির এডলফ হের হিটলার নাকি হলোকাস্ট বা ইহুদি নিধনযজ্ঞের জন্য দায়ী নন। বরং ফিলিস্তিনিরাই নাকি এর জন্য দায়ী। সর্ব সাম্প্রতিক ওয়ার্ল্ড জিওনিস্ট কংগ্রেসে তিনি এই দাবি করেছেন। এমনকি ইসরায়েলভক্ত পশ্চিমা মিডিয়াও তার এই উদ্ভট দাবিকে ভালোভাবে নেয়নি। একটি সংবাদ মাধ্যম তার এই হঠকারী উদ্ভট মন্তব্যের ওপর করা প্রতিবেদনের শুরুতেই লিখেছে: ‘Israeli Prime Minister Benjamin Netanyahu seems to have a knack for crazy claims...’

প্রতিবেদনে নেতানিয়াহুর বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে এভাবে: ‘He says that Palestine’s leadership in the 1930s is the reason 6 million Jews died at Adolf Hitler’s hands.’

নেতানিয়াহুর দাবি, হিটলার ইহুদিদের হত্যা করতে চান নি, তিনি শুধু চেয়েছিলেন জার্মানি থেকে তাদের বহিষ্কার করতে। নেতানিয়াহুর এই নতুন ‘তত্ত্ব’ (Netanyahu’s “theory,”_ অনুযায়ী ১৯২০ ও ১৯৩০—এর দশকে প্যালেস্টাইনের সর্বোচ্চ মুফতি হাজ আমি আল হোসাইনি হিটলারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তার প্ররোচনাতেই নাকি হিটলার জার্মানিতে ব্যাপক ইহুদি-নিধন শুরু করেন। নইলে হিটলার এমন লোক ছিলেন না যে এমনি এমনি ইহুদি-নিধনযজ্ঞে মেতে উঠবেন।

নেতানিয়াহুর এই উদ্ভট দাবিকে পত্রিকাটি অবশ্য যুক্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। তারা বলেছে, ‘ইতিহাস নেতানিয়াহুর পক্ষে নেই’। তারা দু’জন ইতিহাসবিদের বই থেকে প্রমাণ হাজির করে বলেছে, হিটলারের সাথে আল হোসাইনির বৈঠক কখনোই হয়নি। কিন্তু নেতানিয়াহু নামের উন্মাদকে থামায় কে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৫
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।