ঢাকা: তাইওয়ানে ১ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলারের (১৪ হাজার ১৩৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা) অস্ত্র বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে ওবামা প্রশাসন। আর এ ঘোষণা আসার পরপরই মার্কিন পণ্যে নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তাইওয়ানের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির অংশ হিসেবেই অস্ত্র বিক্রির এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ এবং এই সাগরে অধিকতর এলাকা নিজের বলে চীনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির সঙ্গে সম্প্রতি দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই দ্বন্দ্বের জেরেই তাইওয়ানের সঙ্গে চার বছর মেয়াদী চুক্তিটা করেছে ওবামা প্রশাসন।
চুক্তি অনুযায়ী তাইওয়ানকে মার্কিন নৌবাহিনীর দু’টি পরিত্যক্ত ফ্রিগেট, অ্যান্টি-ট্যাংক মিসাইল, জলে-স্থলে চলতে সক্ষম সামরিক যান, ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য মিসাইল ও অন্যান্য সমরাস্ত্র সরঞ্জাম দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন কংগ্রেসে কোনো প্রতিরোধের মুখে না পড়লে চুক্তিটি ৩০ দিনের মধ্যে অনুমোদন পাবে।
এদিকে, এ ঘটনায় বেইজিংয়ে মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে তলব করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম শিনহুয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঝেং জেগুয়াং বলেছেন, তাইওয়ান চীনেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। কাজেই আমার দেশ মার্কিন এ অস্ত্র বিক্রির ঘোষণার তীব্র বিরোধিতা করছে।
১৯৪৯ সালের গৃহযুদ্ধে চীন থেকে আলাদা হয়ে যায় তাইওয়ান। তবে এই ভূখণ্ডকে এখনও চীন নিজের অংশ বলে মনে করে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৫
আরএইচ