ঢাকা: বিশ্বের যেসব এলাকা থেকে জিকা ভাইরাস ছড়িয়েছে এবং আরও ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে, সেসব এলাকায় ২২০ কোটি মানুষ বসবাস করছে। এ বিবেচনায় ২২০ কোটি মানুষকেই জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকতে হচ্ছে।
যুক্তেরাষ্ট্রের জৈবচিকিৎসা ও জীববিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল ই-লাইফে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) এ খবর দিয়েছে।
জিকা ভাইরাস এডিস প্রজাতির মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এই মশা ডেঙ্গু ভাইরাসও ছড়ায়। জিকা ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমেও সুস্থ মানুষের মধ্যে ভাইরাস ছড়াতে পারে। কোনও নারী যদি গর্ভাবস্থায় জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হন, তবে তার শিশু জন্ম নিতে পারে ছোট বা বিকৃত মস্তিষ্ক নিয়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের পক্ষ থেকে গত সপ্তাহে জানানো হয়, বিশ্বজুড়ে এই ভাইরাস আক্রান্ত মায়ের গর্ভে জন্ম নেওয়া শিশুর মধ্যে বেশ কিছু অপূর্ণতা দেখা গেছে। এই ভাইরাসের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আরও গবেষণা চলছে।
ই-লাইফে প্রকাশিত গবেষণা পরিচালনকারীদের অন্যতম সদস্য ও ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডের অধ্যাপক ড. অলিভার ব্রাডি বলেন, আমরা সাধারণত যেভাবে জিকাকে সংজ্ঞায়িত করেছি, এই ভাইরাস ততো সরল নয়। আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব এলাকায় একবার জিকা ছড়িয়েছে, সেখানে আবারও আক্রান্ত হয়েছে মানুষ। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ আমেরিকার বিশাল এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ হলেও স্বস্তি দিচ্ছে না অন্য এলাকাগুলোর রেকর্ডও।
তিনি বলেন, একবার ছড়িয়েছে বিধায় অন্যের মাধ্যমে আবারও ছড়াতে পারে, এমন বিবেচনায় বিশ্বের ২২০ কোটি মানুষ এখন জিকার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাস করছে।
এই অবস্থায় গবেষণা প্রতিবেদনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ (হু) সংশ্লিষ্ট সরকার ও বিভাগকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৬
এইচএ/