ঢাকা: পানামা পেপারের এমনই মাহাত্ম্য যে, যার জেরে জেরবার অমিতাভ বচ্চন থেকে শুরু করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনের। শুধু কি তারাই, ‘পানামা পেপার’ স্ক্যান্ডালে নাম নেই কার? রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন থেকে শুরু করে সৌদি রাজপরিবার, চীন সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধান, সেলিব্রিটি, ব্যবসায়ী এমনকি আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের গায়েও লেগেছে কেলেঙ্কারির কাদা।
ইতোমধ্যেই পদত্যাগ করে মুখ রক্ষা করতে বাধ্য হয়েছেন আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। শেষ পর্যন্ত অমিতাভ বচ্চন যে ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়ার প্রচারমুখ হলেন না তার পেছনেও নাকি রয়েছে পানামা পেপার্সের কালো ছায়া।
অবশ্য পানামা পেপার্স এ তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য মার্কিনীর নাম না থাকায় এতদিন বিষয়টি নিয়ে তেমন হেলদোল ছিলো না মার্কিন সরকারের। তবে শেষ পর্যন্ত পানামা পেপারের গর্তে হাত ঢোকানোরই সিদ্ধান্ত নিলো আঙ্কেল স্যাম।
পানামা পেপার্সের উঠে আসা আর্থিক লেনদেনগুলোর ব্যাপারে ফৌজদারি তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন বিচার বিভাগ ইউএস জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট। এর অংশ হিসেবে ম্যানহাটনের মার্কিন অ্যাটর্নি প্রিত ভারারা পানামা পেপার্সের থলের বেড়াল ফাঁসকারী সেই আন্তর্জাতিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংগঠনটিকে (আইসিআইজে) তাদের হাতে থাকা প্রমাণ দিয়ে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার ( এপ্রিল ২১) প্রিত ভারারা বলেন, এই মামলায় আইসিআইজে’র কোনো সদস্য বা প্রতিনিধি যদি পানামা পেপার্স প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ অথবা তথ্য দিতে চায় তবে ইউএস অ্যাটর্নি অফিস তাদের আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাবে।
আইসিআইজি’র ফাঁস করা পানামা পেপার্সে দেখা যায় কিভাবে পানামার ল ফার্ম মোসাক ফনসেকার সহায়তায় কর ফাঁকি দিয়ে কোটি কোটি ডলার নিজেদের দেশ থেকে পাচার করেছেন রাজনীতিক, অভিনেতা, খেলোয়াড় সহ বিশ্বের ভিআইপি হোমড়া চোমড়ারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৬
আরআই