ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

নির্ভয়াকাণ্ডে ৪ ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড বহাল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩০ ঘণ্টা, মে ৫, ২০১৭
নির্ভয়াকাণ্ডে ৪ ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড বহাল নির্ভয়াকাণ্ডে ৪ ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড বহাল

ভারতের আলোচিত ঘটনা নির্ভয়াকাণ্ডে চার ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ডের সাজা বহাল রেখেছেন দেশটির সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।

শুক্রবার (০৫ মে) মাত্র সাত মিনিটের শুনানির পর হাইকোর্টের রায়কে সঠিক বলে জানান তিন বিচারপতির বেঞ্চ। এর মধ্য দিয়ে জ্যোতি সিংকে ধর্ষণ ও হত্যায় ফাঁসির কাষ্ঠের দিকে আরেক ধাপ এগিয়ে গেলেন চার ধর্ষক মুকেশ সিংহ, পবন গুপ্তা, বিনয় শর্মা ও অক্ষয় ঠাকুর।

এদিন আদালতে অভি‌যুক্তদের আইনজীবীদের কোনো বক্তব্য শোনেননি বিচারপতিরা। মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে বলা হয়, চার ধর্ষক ‌যে জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছেন, তা শুনে মনে হয় অন্য কোনো গ্রহের গল্প শুনছি। তাদের বয়স কম বা বাড়িতে বয়স্ক বাবা-মা রয়েছেন এমন কোনো ‌যুক্তিতে ছাড় দেওয়া ‌যায় না। নির্ভয়াকাণ্ডের পর সমাজে ‌যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল তা মাথায় রেখে তাদের কঠোরতম শাস্তিই প্রাপ্য।

‌যদিও সহমতের ভিত্তিতে রায় দেননি বেঞ্চ। তিন বিচারপতির বেঞ্চের দুই বিচারপতি অশোক ভূষণ ও দীপক মিশ্র ফাঁসির পক্ষে রায় দিয়েছেন। ফাঁসির সাজা মওকুফের পক্ষে রায় দেন বিচারক ভানুমতি।

উচ্চ আদালতের রায়ের পর নির্ভয়ার চার ধর্ষক ও খুনি সুপ্রিমকোর্টে পুনর্বিচারের আবেদন করতে পারবেন। সেই আবেদনও খারিজ হলে কিউমিলিটেভ পিটিশন দায়ের হতে পারে সুপ্রিমকোর্টে। প্রাণভিক্ষার আবেদন করা ‌যেতে পারে রাষ্ট্রপতির কাছে।

২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে রাজধানী দিল্লির মুনিরকায় চলন্ত বাসে গণধর্ষণ করা হয় ২৩ বছরের প্যারা-মেডিকেলের ছাত্রীকে। ছাত্রী ও তার সঙ্গীকে লোহার রড দিয়ে মাথায় বাড়ি মেরে অজ্ঞান করে ফেলে দেয় ধর্ষকরা। ২৯ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে মৃত্যু হয় নি‌র্যাতিতার। চিকিৎসকরা জানান, ‌শরীরে লোহার রড ঢুকিয়ে আঘাত করায় পেটের নিম্নাংশে গুরুতর আঘাত লেগেছিল তার। এভাবেই তার মৃত্যু।

বিচারে চার ধর্ষকের ফাঁসির আদেশ হয় ২০১৩ সালের ১১ মার্চ। পরবর্তী সময়ে ২০১৪ সালের ১১ মার্চ দিল্লির উচ্চ আদালত আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৭
আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।