ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

দার্জিলিংয়ে সেনা মোতায়েন, বিপাকে পর্যটকরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৭
দার্জিলিংয়ে সেনা মোতায়েন, বিপাকে পর্যটকরা বিশ্ব ঐতিহ্য স্বীকৃত টয় ট্রেন ঘুরছে দার্জিলিংয়ের বাতাসিয়া লুপে। ছবি: আসিফ আজিজ

আলাদা রাজ্যের দাবিতে আন্দোলনে উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আন্দোলন-সংঘাতের ফলে বাংলাদেশিসহ সারাবিশ্বের পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় জেলাটিতে ক’সপ্তাহ ধরে অচলাবস্থা বিরাজ করছে।

আন্দোলনরত গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার (জিজেএম) অনির্দিষ্টকালের হরতালের মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দলটির প্রেসিডেন্ট বিমাল গুরুংয়ের বাসভবনে অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। তারপর জিজেএম’র পক্ষ থেকে পুরো জেলায় শাটডাউন (অচল করে দেওয়ার ঘোষণা) ডাকা হলে শুক্রবার (১৬ জুন) সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, জিজেএম’র আন্দোলনের শুরু থেকেই ধাক্কা লাগে দার্জিলিংয়ের পর্যটনে। সেনাবাহিনী মোতায়েনের ফলে পরিস্থিতি আরও প্রতিকূল হয়ে পড়েছে পর্যটকদের জন্য। বিপাকে পড়তে হয়েছে সেখানে অবস্থানরত পর্যটকদের, সিদ্ধান্ত বদলাতে হচ্ছে দার্জিলিং ভ্রমণেচ্ছুদের।  

ভারতের পর্যটনের অন্যতম কেন্দ্রটিতে প্রতিদিনই বাংলাদেশিসহ হাজারো পর্যটক ভিড় করেন। গত ১০ জুন জিজেএম‘র হরতালের ডাক দেওয়ার পর থেকেই পর্যটকরা সমতলে নেমে আসতে শুরু করেন। সরকারের তরফ থেকেও বিপুলসংখ্যক পর্যটককে সরিয়ে নেওয়া হয়।

দার্জিলিং শহরে সেনাবাহিনীর গাড়ি‘গোর্খাল্যান্ড’ নামে আলাদা রাজ্যের দাবিতে বামফ্রন্টের আমলে বারবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পাহাড়ি জেলা দার্জিলিং। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর কিছুদিন শান্ত থাকলেও বিভিন্ন সময়ে নানা ইস্যুতে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামে জিজেএম।

যদিও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে আলাদা রাজ্যের দাবি কোনোভাবেই মানা হবে না বলে জানানো হয়েছে। তবু এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে জিজেএম। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দার্জিলিং সফরকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে জিজেএম সমর্থকরা।  

এ সংঘাত শুরু হওয়ার পর বৃহস্পতিবারের অভিযানের জের ধরে শুক্রবার থেকে দার্জিলিংয়ের সিংমারিতে জিজেএম’র কেন্দ্রীয় কার্যালয় তিন দিক থেকে সেনাবাহিনী দিয়ে ঘেরাও করে রাখা হয়েছে।  

সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, আদালতের তরফ থেকে সরকারকে পরিস্থিতি শক্ত হাতে নিরসনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি কী পর্যায়ে আছে তা জানাতে প্রতিবেদনও দিতে বলা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতার সরকারকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৯ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।