ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বুথফেরত জরিপ দেখে কেঁদেছিলেন টেরিজা মে!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৭
বুথফেরত জরিপ দেখে কেঁদেছিলেন টেরিজা মে! টেরিজা মে

আগাম নির্বাচন ডেকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোয় বেশ সমালোচনায় পড়েছিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে। তবে হাল ছেড়ে না দিয়ে সমমনা একটি দলকে নিয়ে সরকার গড়ে সে সমালোচনা আপাতত সামাল দেন তিনি।

ঘরে-বাইরে কটূ-কথার প্রেক্ষিতে প্রকাশ্যে নিজেকে মসনদ ধরে রাখার ব্যাপারে অটল দেখালেও সবার আড়ালে কেঁদেছিলেন টেরিজা। সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর নিজেকে যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না তিনি।

কী ভাবলেন, আর কী হলো।

বিবিসি রেডিও-৫ লাইভ এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকালে এ কথাই বলছিলেন টেরিজা। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) ওই সাক্ষাৎকারের বরাত দিয়ে প্রতিবেদন করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম।

বুথফেরত জরিপের প্রথম খবর স্বামী ফিলিপের কাছ থেকেই পান জানিয়ে টেরিজা বলেন, নিজের দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর খবরটি পুরোপুরিই আঘাত ছিল আমার জন্য।  

টেরিজা বলছিলেন, আমার স্বামী খবরটি জানিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। তখন আমি কাঁদছিলাম। পরে আর নিজে এ বুথফেরত জরিপ দেখিনি।

টেরিজা স্বীকার করেন তার প্রচারণার পদ্ধতি যথাযথ ছিল না। কিন্তু আগাম নির্বাচন ডাকার আগে যে ইঙ্গিত পাচ্ছিলেন, সে হিসেবে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আরও পোক্ত হওয়ারই আশাবাদ ছিল তার।

ব্রেক্সিটের পর তা বাস্তবায়নে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও ক্ষমতা আরও নিরঙ্কুশ করতে গত ৮ জুন আকস্মিক নির্বাচন ডাকেন টেরিজা। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় ৩২৬ আসনের চেয়ে ১০ আসন কম পেয়েছে তার দল কনজারভেটিভ পার্টি। পরে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য সমমনা ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির সঙ্গে সমঝোতা করতে হয় তাদের।

ওই ফলাফলের পর টেরিজাকে পদত্যাগের আহ্বান জানান প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী লেবার পার্টির প্রধান জেরেমি করবিনসহ স্বদলীয়-বিরোধী দলীয় অনেক নেতা।

এই সমােলাচনা সয়েও ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে সরকার চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ডেভিড ক্যামেরন থেকে ২০১৬ সালের মাঝামাঝিতে দায়িত্ব বুঝে নেওয়া টেরিজা। বর্তমানে এ দিকে মনোযোগ রেখেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।