ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে নয়, ঘরে ফেরত নিন: কফি আনান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৭
রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে নয়, ঘরে ফেরত নিন: কফি আনান পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, ইনসেটে কফি আনান

প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে নয়, ঘরে ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান।

রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) পূর্ব নির্ধারিত বৈঠকের পর এক অনানুষ্ঠানিক আলাপে মিয়ানমার সরকারের প্রতি এ আহ্বান জানান কফি আনান। রোহিঙ্গা ইস্যুতে সেপ্টেম্বরের পর এটি ছিলো পরিষদের দ্বিতীয় বৈঠক।

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মর্যাদার সঙ্গে ফিরিয়ে নেওয়ার পরিবেশ তৈরি করুন, যাতে তারা সেখানে নিরাপত্তার আঁচ অনুভব করে। একইসঙ্গে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত রাখাইন রাজ্য পুর্নর্গঠনে তাদের সহায়তা করুন’।

এছাড়া কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে বৈঠকে নিরাপত্তা পরিষদ পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। তবে এ বিষয়ে জাতিসংঘে মিয়ানমারের প্রতিনিধির তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এর আগে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অব্যাহত গণহত্যা ও সহিংসতায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আলোচনা চলছে।

তবে কী পদ্ধতিতে তাদের ফেরত নেওয়া হবে এ বিষয়ে সু চি কোনো সদুত্তর দেননি। যদিও রোহিঙ্গা ফেরাতে ১৯৯২ সালের ঘোষণাকে ভিত্তি করার কথা ইতোপূর্বে বলেছে সু চির দফতর, পাশাপাশি যাচাই করার কথাও বলা হয়েছে।

এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠক হয়েছে। ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ সাতটি রাষ্ট্র এই বৈঠকের আবেদন করে। বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরিসের বক্তব্য শুনেছেন নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। জবাবে চীন ও রাশিয়া তা উড়িয়ে দিয়ে মিয়ানমারেরই পক্ষ নেয়। কার্যত কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয় ‘বহুল কাঙ্ক্ষিত’ আলোচনা।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বলছে, সহিংসতার জেরে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় সোয়া পাঁচ লাখ। তবে বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা সাড়ে ছয় লাখ ছাড়িয়েছে। দিন দিন রোহিঙ্গা স্রোত কোনো মতেই থামছে না। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। সহিংসতায় প্রাণ গেছে তিন হাজারের বেশি মানুষের। বেসরকারিভাবে এই সংখ্যা দশ হাজার পার করেছে মধ্য সেপ্টেম্বরেই। কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদল সেখানে কাজ করার সুযোগ না পাওয়ায় নতুন তথ্য জানা যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৭
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।