ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

দালাইলামার সঙ্গে দেখা করা মানা!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৭
দালাইলামার সঙ্গে দেখা করা মানা! দালাইলামা (ফাইল ছবি)

তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাইলামার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করা যাবে না। চীন এ বিষয়ে দিয়েছে হুঁশিয়ারি।

চীনের সঙ্গে যাদের সম্পর্ক রয়েছে তারা যেন এই ধর্মীয় নেতার সঙ্গে দেখা না করে, বৈঠক না করে। চীনা ভাষ্যে তা ‘অপরাধ’।

 

দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান অর্থনৈতিক শক্তিধর এই দেশটির চোখে তিব্বতের বৌদ্ধ ধর্মগুরু আসলে বিচ্ছিন্নতাবাদী। তিনি চীন থেকে তিব্বতকে আলাদা করতে চান।

মূলত বেইজিংয়ের সঙ্গে যেসব দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, সেই সব দেশকে চীন জানিয়ে দিয়েছে, তিব্বতকে চীনের অংশ হিসেবেই মানচিত্রে দেখাতে হবে। সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রের সহযোগিতায় অরুণাচল প্রদেশসহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোতে সফর করেছেন নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত ধর্মগুরু। এই ঘটনারও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বেইজিং।

এদিকে বুধবার ভারতের মণিপুর রাজ্যের রাজধানী ইম্ফলে ৮২ বছর বয়সী এই ধর্মীয় নেতা এক বক্তব্যে বলেছেন, মুসলিম বা খ্রিস্টান সন্ত্রাসী বলে কিছু নেই। কারণ কেউ যখন সন্ত্রাসকে আঁকড়ে ধরে, তখন তার কোনো ধর্ম থাকে না। যখন কেউ সন্ত্রাসী হয়ে যায়, সেই মুহূর্ত থেকে সে মুসলিম, খ্রিস্টান বা অন্য যে ধর্মেরও হোক না কেন, তা থেকে বেরিয়ে আসে।

মণিপুরে দালাইলামাকে গণসংবর্ধনাও দেওয়া হয়।

এর আগে তিনি বলেছিলেন, আমি স্বপ্ন দেখি, ভারত, জাপান ও চীন মিলে একদিন এশিয়ান ইউনিয়ন হবে। কাজ করবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো।

চীন সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ অসফল হওয়ার পর ১৯৫৯ সালে তিব্বত থেকে পালিয়ে যান দালাইলামা। সেই সময় থেকেই তিনি ভারতের আশ্রয়ে রয়েছেন।  

চীনের বক্তব্য, কোনো দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বা অন্যান্য সরকার প্রতিনিধি দালাইলামার সঙ্গে দেখা করা মানে চীনবাসীর আবেগকে খাটো করা। যা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৭
আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।