মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দেশের দু’টি কারাগারে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। আটক হওয়ার পর থেকেই এ ১৫ সন্ত্রাসী দেশের উত্তরাঞ্চলের ওই দু’টি কারাগারে বন্দি ছিলেন।
তাদের বিরুদ্ধে সেনাদের নির্বিচারে হত্যা ও সামরিক বাহিনীর সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে। এর আগে একই অভিযোগে ২০১৫ সালে ৬ সন্ত্রাসীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় দেশটিতে।
আরব বসন্তের জেরে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি মিশরের সিনাইতেও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে ইসলামিক স্টেট (আইএস) সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। এরপর থেকে সেই এলাকায় সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিচারকদের ওপর দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটে।
এসব হামলার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন সময়ে মিশরীয় নিরাপত্তা বাহিনী সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ডজন ডজন সন্ত্রাসীকে আটক করে। তাদের বেশিরভাগেরই বিরুদ্ধে মামলা চলছে।
গত নভেম্বরেই উত্তর সিনাইয়ের একটি মসজিদে আইএসের সন্ত্রাসীদের হামলায় আড়াই শতাধিক লোক নিহত হয়। এসব হামলার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি সামরিক বাহিনীকে সিনাই সন্ত্রাসমুক্ত করতে তিন মাস বেঁধে দেন। তিনি প্রয়োজনে কড়া বলপ্রয়োগের নির্দেশনাও দেন সামরিক বাহিনী।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৭
এইচএ