এক ভিডিও বার্তায় মিশরের সিনাই উপদ্বীপে তৎপর আইএসের অনুগত বাহিনীর মুখপাত্র আবু কাসেম আল-মাক্কদিসি এই যুদ্ধ ঘোষণা করেন হামাসের বিরুদ্ধে। বুধবার (৩ জানুয়ারি) জঙ্গি কার্যক্রম পর্যবেক্ষক ওয়েবসাইট সাইট ইন্টিলিজেন্সে ভিডিওটি প্রকাশ হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জেরুজালেম ঘোষণা দিয়ে শুরু হওয়া ২২ মিনিটের ভিডিওতে দেখা যায়, জঙ্গিরা মুসা আবু জামাত নামে কমলা রঙের পোশাক পরিহিত তাদেরই এক সদস্যকে ‘বিশ্বাসঘাতকতার’ দায়ে চোখ বেঁধে হাঁটু নিচু করে বসিয়ে গুলি করে হত্যা করছে। আবু জামাতের বিরুদ্ধে ভিডিওতে বলা হয়, তিনি মিশর থেকে হামাসের সামরিক শাখার জন্য অস্ত্র পাচার করছিলেন।
আইএসের সিনাই উপদ্বীপের ওই মুখপাত্র ভিডিওতে তার সহযোগীদের ফিলিস্তিনের গাজায় গিয়ে হামাসের সব স্থাপনায় হামলা চালানোর আহ্বান জানান। তিনি হামাসকে অভিযুক্ত করে বলেন, তারা পশ্চিমা দেশগুলোর দোসরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং কেবল ইসরায়েলি ইহুদিদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
গত ডিসেম্বরের শুরুতে ডোনাল্ড ট্রাম্প আকস্মিকভাবে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিলে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। সমালোচনায় মুখর হয় মুসলিম বিশ্ব। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের অনেক পশ্চিমা মিত্রও এ নিয়ে আলোচনায় মত্ত হয়।
এই সিদ্ধান্তের নিন্দা ও বিরোধিতায় গাজা অঞ্চলের প্রশাসনের নিয়ন্ত্রক হামাস ‘নবজাগরণের’ ডাক দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে। এই আন্দোলন কর্মসূচি দমনে ইসরায়েলি বাহিনী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে। এতে দফায় দফায় ২০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনির প্রাণ যায়। কারা প্রকোষ্ঠে ঢোকানো হয়েছে ডজন ডজন বিক্ষোভকারীকে।
যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এমনকি সৌদি আরবেরও চোখের বিষ হামাস এবার আইএসের ‘টার্গেটে’ পরিণত হওয়ায় সংগঠনটির আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে ওই ভিডিওটি প্রকাশের পর হামাসের মুখপাত্র সালা বার্দাবিল বলেন, ‘আমাদের প্রতিরোধ আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতেই আরব সরঞ্জাম ব্যবহার করে এই ভিডিও তৈরি করেছে ইহুদিবাদীরা। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৭
এইচএ/