সম্প্রতি বিবিসির একটি এক্সক্লুসিভ ডকুমেন্টারিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
জানা যায়, রাজমুকুটের মূল্যবান রত্নসহ কালো প্রিন্স রুবি পোতা ছিল মধ্যযুগীয় একটি দুর্গের জরুরি পলায়নের জন্য ব্যবহৃত একটি পথে।
রত্ন লুকানোর বিষয়টি এতোটাই গোপন ও সুরক্ষিত ছিল যে বর্তমানে ৯১ বছর বয়সী রানী এলিজাবেথও সেময় জানতেন না। রানীর বিষয়টি নিয়ে কিছুই জানা ছিল না। রাজ পরিবারের মুখপাত্র অ্যালাস্টেয়ার ব্রুস একথা জানান।
ব্রুস বলেন, রাজ পরিবারের গ্রন্থাগারিক ওয়েন মোরশেদ টাইম পত্রিকায় ছাপানো কিছু তথ্যের মাধ্যমে রহস্যে আলো ফেলেন। তার ডকুমেন্টে বর্ণনা আছে কীভাবে গর্ত খোঁড়া হয়েছিল চুনাপাথরের মাটিতে। আর কীভাবে বানানো হয়েছিল স্টিলের দরজার দুই চেম্বার।
যে গোপন এলাকায় টিনের বাক্সটি রাখা হয়েছিল সেটি এখনও সেখানে আছে। তবে যেতে গেলে সেখানে রয়েছে একটি বিশেষ দরজা।
রানী এলিজাবেথের সঙ্গে ব্রুস মূল্যবান এসব রত্ন নিয়ে কথা বলেছেন টেলিভিশনে প্রচারের জন্য। যেটা অতি বিরল দৃষ্টান্ত। ব্রিটিশ রাজা কিংবা রানী কখনো এভাবে সাক্ষাৎকার দেন না।
রাজমুকুটটির ওজন ১ দশমিক ২৮ কিলোগ্রাম। রানী বলেন, ‘সৌভাগ্যবশত আমার ও আমার বাবার মাথার আকার প্রায় একইরকম। তাই এটা যখন কেউ আমার মাথার উপর রাখে তখন সেটি ঠিকভাবে বসে থাকে। ’
মুকুটটি ১৯৩৭ সালে রাজা জর্জের অভিষেকের সময় তৈরি করা হয়। যাতে ১৭টি নীলকান্তমণিসহ ২ হাজার ৮৬৮টি হীরা, ১১টি পান্না, কয়েকশ মুক্তা রয়েছে। এছাড়া রয়েছে মূল্যবান কালো প্রিন্স রুবি।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৮
এএ