ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বিশ্বযুদ্ধকালীন বিস্কুটের টিনে ছিল ব্রিটিশ মুকুটের রত্ন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৮
বিশ্বযুদ্ধকালীন বিস্কুটের টিনে ছিল ব্রিটিশ মুকুটের রত্ন ব্রিটিশ রাজমুকুট

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ রাজমুকুটের অতি মূল্যবান সব রত্ন লুকানো ছিল একটি বিস্কুটের টিনে। টিনটি সুরক্ষিত রাজপ্রাসাদের অন্দরের মাটিতে পোতা ছিল। নাৎসি বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা করতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

সম্প্রতি বিবিসির একটি এক্সক্লুসিভ ডকুমেন্টারিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

জানা যায়, রাজমুকুটের মূল্যবান রত্নসহ কালো প্রিন্স রুবি পোতা ছিল মধ্যযুগীয় একটি দুর্গের জরুরি পলায়নের জন্য ব্যবহৃত একটি পথে।

এটা করা হয়েছিল রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের বাবা রাজা ৬ষ্ঠ জর্জের নির্দেশে। কারণ রাজা চাননি কোনোভাবেই এসব মহামূল্যবান রত্ন নাৎসি বাহিনীর হাতে গিয়ে পড়ুক।

রত্ন লুকানোর বিষয়টি এতোটাই গোপন ও সুরক্ষিত ছিল যে বর্তমানে ৯১ বছর বয়সী রানী এলিজাবেথও সেময় জানতেন না। রানীর বিষয়টি নিয়ে কিছুই জানা ছিল না। রাজ পরিবারের মুখপাত্র অ্যালাস্টেয়ার ব্রুস একথা জানান।

ব্রুস বলেন, রাজ পরিবারের গ্রন্থাগারিক ওয়েন মোরশেদ টাইম পত্রিকায় ছাপানো কিছু তথ্যের মাধ্যমে রহস্যে আলো ফেলেন। তার ডকুমেন্টে বর্ণনা আছে কীভাবে গর্ত খোঁড়া হয়েছিল চুনাপাথরের মাটিতে। আর কীভাবে বানানো হয়েছিল স্টিলের দরজার দুই চেম্বার।  

যে গোপন এলাকায় টিনের বাক্সটি রাখা হয়েছিল সেটি এখনও সেখানে আছে। তবে যেতে গেলে সেখানে রয়েছে একটি বিশেষ দরজা।

রানী এলিজাবেথের সঙ্গে ব্রুস মূল্যবান এসব রত্ন নিয়ে কথা বলেছেন টেলিভিশনে প্রচারের জন্য। যেটা অতি বিরল দৃষ্টান্ত। ব্রিটিশ রাজা কিংবা রানী কখনো এভাবে সাক্ষাৎকার দেন না।

রাজমুকুটটির ওজন ১ দশমিক ২৮ কিলোগ্রাম। রানী বলেন, ‘সৌভাগ্যবশত আমার ও আমার বাবার মাথার আকার প্রায় একইরকম। তাই এটা যখন কেউ আমার মাথার উপর রাখে তখন সেটি ঠিকভাবে বসে থাকে। ’

মুকুটটি ১৯৩৭ সালে রাজা জর্জের অভিষেকের সময় তৈরি করা হয়। যাতে ১৭টি নীলকান্তমণিসহ ২ হাজার ৮৬৮টি হীরা, ১১টি পান্না, কয়েকশ মুক্তা রয়েছে। এছাড়া রয়েছে মূল্যবান কালো প্রিন্স রুবি।

বাংলাদেশ সময়: ০৬২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৮
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।