জানা যায়, বিক্রির আগে ভুল করে ওই পোটকা মাছগুলোর কলিজা অপসারণ করা হয়নি। এ মাছের কলিজা এতই বিষাক্ত যে সঠিক উপায়ে তা অপসারণ না করা হলে পরিণতি হতে পারে খুবই ভয়াবহ।
কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে জরুরি বার্তার মাধ্যমে শহরময় প্রচারণা চালাতে থাকে। জরুরি ওয়্যারলেস সিস্টেমের সাহায্যে প্রচারিত বার্তায় বলা হয়, কেউ যেন পোটকা মাছ(জাপানি ভাষায় ‘ফুগু’) না খান। বার্তায় পোটকা মাছের বিষাক্ত প্রত্যঙ্গ ফেরত দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ক্রেতাদের অনুরোধ করে কর্তৃপক্ষ।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, বিক্রি হওয়া পাঁচ প্যাকেটের মধ্যে তিন প্যাকেট মাছ উদ্ধার করা হয়েছে। দু’টি প্যাকেটের হদিস এখনও পাওয়া যায়নি।
ফুগু বা পোটকা মাছ একটি অতি জনপ্রিয় এবং ব্যয়বহুল খাবার। এ মাছ সাধারণ কাঁচা বা স্যুপের সঙ্গে রান্না করা খাওয়া হয়।
কিন্তু এর কলিজা, অগ্নাশয় ও ত্বকে রয়েছে প্রাণঘাতী বিষ। এ বিষ অতি দ্রুত মানুষের স্নায়ুকে বিকল করে দেয়। প্রথমে মানুষের মুখ অবশ করে ফেলে, এরপর দেহ অসার হয়ে যায়, সবশেষে মৃত্যু। এ বিষের কোনো প্রতিষেধক নেই।
পোটকা মাছের দেহ থেকে বিষাক্ত অংশগুলো অপসারণ করতে বিশেষ দক্ষতার দরকার হয়। বিক্রেতাদের এজন্য ক্ষেত্রবিশেষে লাইসেন্স পর্যন্ত নিতে হয়।
প্রতিবছর জাপানসহ বিশ্বের অনেক দেশেই পোটকা মাছের বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর খবর মেলে। বাংলাদেশেও এমন মৃত্যুর খবর পত্রিকান্তরে পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৮
এনএইচটি/জেএম