ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

‘মা, ওরা আমায় পরীক্ষা দিতে দেয়নি, দুঃখিত মা’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৮
‘মা, ওরা আমায় পরীক্ষা দিতে দেয়নি, দুঃখিত মা’ প্রতীকী ছবি

অভাবী সংসারের মেয়ে। তাই পরীক্ষার ফি দিতে পারেনি। পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর কেন্দ্রে এলো। কিন্তু অপমান-অপদস্থ করে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিলেন শিক্ষকেরা। এই অপমান সইতে পারলো না কিশোরী মেয়েটি। গলায় ফাঁস দিয়ে বিদায় জানালো ‘অর্থনির্ভর’ দুনিয়াকে।

ভারতের হায়দ্রাবাদের মালকাজগিরিতে ঘটেছে এই মর্মান্তিক আত্মহননের ঘটনা। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ওই মেয়েটির বয়স হয়েছিল ১৪ বছর।

আত্মহননের আগে সে একটি চিরকুট লিখে যায়, যেখানে লেখা ছিল, ‘মা, ওরা আমায় পরীক্ষা দিতে দেয়নি, দুঃখিত মা। ’ এই চিরকুটটিই এখন কাঁদাচ্ছে মেয়েটির মা-বাবা, স্বজনদের।

মেয়েটির স্বজন ও কয়েকজন সহপাঠী সংবাদমাধ্যমকে বলেছে, পরীক্ষার ফি দিতে না পারার কারণে ওই ছাত্রী কেন্দ্রে গেলে তাকে অপমান-অপদস্থ করা হয়। এরপর সবার সামনে তাকে শ্রেণিকক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়।

বেসরকারি ওই স্কুলটির কর্তৃপক্ষের এমন আচরণে মুষড়ে পড়া মেয়েটি বাড়িতে এসে তার বোনকে জানায়। সে বলে, তাকে সবার সামনে মানসিকভাবে অপদস্থ করা হয়েছে। এটা সে মেনে নিতে পারছে না বলেও জানায় বোনকে।

পরে স্বজনদের সবার অগোচরে ওই ছাত্রী তার শোবার ঘরের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহনন করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে এবং মরদেহের পাশ থেকে ওই চিরকুটটি জব্দ করে।

স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই স্কুলের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে। এরইমধ্যে ছাত্রীকে আত্মহননে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে কয়েকজনের বিরুদ্ধে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৮
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।