আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে দিয়েছে এই খবর।
১ ফ্রেব্রুয়ারি আদেশদাতা ৫ বিচারকের বেঞ্চের তিন বিচারক চাপের মুখে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সমঝোতার পর মঙ্গলবার দিন শেষে নিজেদের দেয়া আদেশ প্রত্যাহারের এই নাটক করলেন।
প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন আবদুল গাইয়ুম জরুরি অবস্থা জারি করার পর পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর লোকেরা প্রধান বিচারপতি আবদুল্লাহ সাঈদ ও বিচারপতি আলী হামিদকে সুপ্রিম কোর্ট ভবন থেকে তুলে নিয়ে যায়।
এরপর গ্রেফতার এড়ানো এই তিন বিচারপতি প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনের সঙ্গে সমঝোতার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ১ ফেব্রুয়ারির আদেশটি প্রত্যাহার করেন।
এই তিন বিচারক নিজেদের নিরাপদ রাখতেই যে সরকারের সঙ্গে গোপন সমঝোতায় উপনীত হয়েছেন এমন দাবি করেছে সংবাদ মাধ্যমগুলো।
তারা আরও জানায়, এই তিন বিচারপতি যাতে আগের আদেশটি প্রত্যাহার করতে পারেন সেজন্য প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন আবদুল গাইয়ুম জরুরি অবস্থার আওতায় বিচারকদের রহিত হয়ে যাওয়া ক্ষমতা পুনর্বহাল করেন।
প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন বিচারপতিদের আগের আদেশটি প্রত্যাহারকে স্বাগত জানান।
এই তিন বিচারপতি আদেশ প্রত্যাহারের বিনিময়ে নিজেরা মুক্ত থাকলেও প্রধান বিচারপতি আবদুল্লাহ সাঈদ ও বিচারপতি আলী হামিদকে রাখা হয়েছে কারাগারে। তাদের বিরুদ্ধে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে ওইদিন সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ আটক দুই বিচারপতি, তার পূর্বসূরি সাবেক প্রেসিডেন্ট মামুন আবদুল গাইয়ুমসহ আটক রাজনৈতিক নেতাদের মুক্ত করতে ভারতের সামরিক হস্তক্ষেপ চেয়ে নয়াদিল্লির কাছে বার্তা পাঠান।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারত মালদ্বীপে চলমান পরিস্থিতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয়। ভারত আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়ার পরপরই তিন বিচারপতি ১ ফেব্রুয়ারিতে দেয়া নিজেদের আদেশ প্রত্যাহার করে বসলেন।
তিন বিচারপতি তাদের দেয়া নতুন আদেশে বলেন, প্রেসিডেন্টের উদ্বেগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই তারা তাদের দেয়া আদেশের বিশেষ অংশটি (যাতে আটকদের মুক্তির বিষয়টি ছিল) প্রত্যাহার করে নেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বিচারপতিদের সততা নিরপেক্ষতা, নির্ভীকতা ও চিরাচরিত শ্রদ্ধার জায়গাটি ছিল, চাপের মুখে সরকারের কাছে এই তিন বিচারপতির নতিস্বীকারের মধ্য দিয়ে তা প্রশ্নবিদ্ধ হলো। পাশাপাশি মালদ্বীপের চলমান সংকটে আরও নতুন এক জটিল ও অনাকাঙ্ক্ষিত মাত্রা যোগ হলো।
বাংলাদেশ সময়:১২৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৮
জেএম