মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মহাশূন্যে গাড়ি পাঠালো ব্যক্তিমালিকানাধীন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্স। এটি পাঠানো হয়েছে ‘ফ্যালকন হেভি’ নামের সবচেয়ে শক্তিশালী ইঞ্জিনবিশিষ্ট মহাকাশযানে করে।
ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের সময় এর কার্গোতে নিজের টেসলা রোডস্টার মডেলের লাল রঙের ছাদখোলা গাড়িটি ভরে দেন স্পেসএক্স প্রতিষ্ঠাতা এলন মাস্ক। গাড়িতে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে একটি মানব-পুতুল। পুতুলটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্টার ম্যান’ অর্থাৎ নক্ষত্রমানব। ঠিক নভোচারীদের মতো স্পেস স্যুট পড়িয়ে ‘নক্ষত্রমানব’কে বসানো হয়েছে গাড়ির ড্রাইভিং সিটে।
গাড়ির স্টেরিওতে বাজিয়ে দেওয়া হয় ব্রিটিশ গায়ক ডেভিড বাওয়ির বিখ্যাত গান ‘স্পেস অডিটি’। কয়েক দশক আগের এ গানটি ২০১৩ সালে নতুন করে রেকর্ড করেন নভোচারী ক্রিস হ্যাডফিল্ড। আর এ রেকর্ডিংটি করা হয় ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে (আইএসএস)। মহাশূন্যে রেকর্ড করা বিশ্বের প্রথম গান এটি। তাছাড়া এর মিউজিক ভিডিওটিও ধারণ করা হয় আইএসএসে যা মহাশূন্যে ধারণ করা বিশ্বের প্রথম মিউজিক ভিডিও।
টুইটারে শেয়ার করা বার্তায় এলন মাস্ক জানান, গাড়িটির গন্তব্য মঙ্গল গ্রহ। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সম্মুখীন না হলে, গাড়িটি মহাশূন্যে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে মঙ্গলের কক্ষপথে পৌঁছবে এবং অনন্তকাল ওই গ্রহের চারদিকে প্রদক্ষিণ করতে থাকবে।
ফ্যালকন হেভির উৎক্ষেপণ এবং গাড়িতে চড়ে নক্ষত্রমানবের মহাশূন্যে অবতরণের ভিডিও সরাসরি সম্প্রচার করা হয় স্পেসএক্সের ইউটিউব চ্যানেল থেকে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখ লাখ মানুষ উপভোগ করেন মহাশূন্যে যাত্রা করা বিশ্বের প্রথম গাড়ির ভিডিও।
গাড়িতে জুড়ে দেওয়া ক্যামেরার ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, ‘নক্ষত্রমানব’ তার ডান হাতে গাড়ির স্টিয়ারিং ধরে আছে। অন্য হাতটি গাড়ির বাম পাশের দরজার উপর রেখে আয়েশি ভঙ্গিতে বসে আছে। ভিডিও’তে এক পর্যায়ে দেখা মেলে পৃথিবী নামের নীল এ গ্রহটিকেও। মানুষের অগ্রযাত্রার প্রতীক বহনকারী গাড়িটি নিয়ে নক্ষত্রমানব ছুটে চলছে তার অন্তহীন যাত্রাপথে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৮
এনএইচটি/জেএম