স্থানীয় সময় শুক্রবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) ব্যক্তিগত প্লেনে দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচেওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
তার সফর সঙ্গী হিসেবে উত্তর কোরিয়ার আনুষ্ঠানিক প্রধান কিম ইয়ং ন্যামসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছেন।
শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার পিয়ং চ্যাংয়ে শুরু হচ্ছে শীতকালীন অলিম্পিক। অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই সেখানে গেছেন তারা।
গত বছর উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোতে পদোন্নতি পান ইয় জং। দলের প্রচার বিভাগ ও ভাইয়ের ভাবমূর্তি উন্নয়নে নিয়োজিত এই নারী দক্ষিণ কোরিয়ায় আসা কিম পরিবারের প্রথম সদস্য, যিনি তার ভাইয়ের খুবই বিশ্বস্ত।
১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত কোরীয় যুদ্ধের পর থেকে এটাই উত্তর কোরিয়ার শাসক পরিবারের কোনো সদস্য দক্ষিণ কোরিয়া সফরে গেলেন।
এদিকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ক’দিন আগেও এক দেশ আরেক দেশকে যেখানে নিজেদের মুখোমুখি পর্যন্ত হতো না। তবে এবার ইয় জংয়ের এই সফরে যেন সেই পারদ এবার গলতে শুরু করেছে। এবার দক্ষিণে অনুষ্ঠিতব্য অলিম্পেকে দলও পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রভাবশালী ইয় জং এর উপস্থিতিতেই দুই কোরিয়ার খেলোয়াড়রা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এক পতাকার নিচে হাঁটেন। অলিম্পিক গেমসে উত্তর কোরিয়ার অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের বরফ কিছুটা গলবে।
১৯৮৭ সালে জন্ম নেওয়া কিম ইয় জং ভাই কিমের চার বছরের ছোট। সু্ইজারল্যান্ডের বের্নেতে একই সময়ে পড়াশোনা করেছেন দুই ভাই-বোন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৮
এমএ/