গত আগস্টে রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুদের উপর সহিংস নির্যাতনের পর এটাই জাতিসংঘের সবচেয়ে উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি দলের রাখাইন সফর হবে।
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের সেখানে যাওয়ার কথা থাকলেও মিয়ানমার দাবি করেছিলো ‘এখন উপযুক্ত সময় না’।
এরপর চলতি মাসে তারা ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলকে সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেয়।
মিয়ানমারের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ৩০ এপ্রিল নেপিদো পৌঁছাবেন এবং তার পরের দিনই রাখাইনে যাবেন।
ঘটনার শুরু গত বছরের ২৫ আগস্ট। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি মুসলমান’ আখ্যা দিয়ে দমন-পীড়ন শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তাদের বাংলাদেশের বাসিন্দা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায় দেশটি। সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে জীবন বাঁচাতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের পথে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে।
বিভিন্ন সংস্থার জরিপ মতে, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে।
আন্তর্জাতিক চাপের মুখে দুই বছরে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে গত জানুয়ারিতে দুই দেশের মধ্যে প্রত্যাবাসন চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যে দুটি অভ্যর্থনা কেন্দ্র স্থাপন করে। তবে জাতিসংঘ জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাখাইন এখনও প্রস্তুত নয়।
সম্প্রতি সেখানে সফর করে জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধি দল। সফর শেষে জাতিসংঘের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল উরসুলা মুয়েলার জানান, সেখানে স্বাস্থ্যসেবার অপ্রতুলতা, নিরাপত্তার অনিশ্চয়তা আর অব্যাহত স্থানচুত্যির ঘটনা ঘটছে। রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার জন্য এই পরিস্থিতি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৮
আরআর