‘পিস মিশন ২০১৮’ শীর্ষক এ মহড়া সাংহাই সহযোগিতা সংগঠনের (এসসিও) একটি কর্মসূচির অংশ। এবারের মহড়ায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে সামরিক মহড়ার এই খবর দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারাম মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) বলেছেন, তারা উড়াল পর্বতে বহুজাতিক সামরিক মহড়ায় অংশ নেবেন।
ভারত-পাকিস্তান দেশ দু’টির নাম একসঙ্গে উচ্চারিত হতেই যেন অস্ত্রের ঝনঝনানির শব্দ বাজে কানে। স্বাধীনতার পর থেকেই যে বারবার যুদ্ধে জড়িয়েছে সাম্প্রদায়িক এক তত্ত্বের ভিত্তিতে ১৯৫০ এর দশকে বিভাজিত দেশ দু’টি। এবার প্রথমবারের মতো এমন সামরিক মহড়ার খবর পরমাণু শক্তিধর দু’দেশের সীমান্তেই জ্বালছে ‘আশার আলো’।
অবশ্য যৌথ সামরিক মহড়া এই প্রথম হলেও ভারত ও পাকিস্তানের সৈন্যরা একসঙ্গে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করেছেন। দু’পক্ষই পেয়েছে জাতিসংঘ স্বীকৃতি।
চীন, রাশিয়া, কাজাখস্তান, তাজিকিস্তান ও কিরগিজস্তানের উদ্যোগে ২০০১ সালে এসসিও গঠিত হওয়ার পর প্রতি দু’বছরে এই ‘পিস মিশন’ মহড়ার আয়োজন করা হয়ে থাকে। এসসিওর মোট আট সদস্যের বাকি তিন দেশ হলো ভারত, পাকিস্তান ও উজবেকিস্তান। এছাড়া চারটি দেশ রয়েছে ‘পর্যবেক্ষক’ হিসেবে এবং ছয়টি দেশ রয়েছে ‘সংলাপের অংশীদার’ হিসেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৮
এইচএ/