তবে এবার সুর পাল্টিয়ে ট্রাম্প বললেন, ‘ড্যানিয়েলসের ফালতু বিষয়টি আমার হয়ে কোহেন দেখেছেন’।
যুক্তরাষ্ট্রের ফক্স নিউজের ‘ফক্স অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’কে টেলিফোনে একথা জানিয়েছেন ট্রাম্প নিজেই।
ওই টেলিভিশন শোতে ট্রাম্প দাবি করেন, ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়ে ডেনিয়েলসের মুখ বন্ধ রাখতে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে কোহেন ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দেন। যা কয়েক সপ্তাহ আগেও এ সম্পর্কে কিছু জানতেন না তিনি।
‘আমার ব্যক্তিগত কয়েকজন আইনজীবীর মধ্যে কোহেন একজন। তিনি ড্যানিয়েলসের মতো ফালতু বিষয়টি আমার হয়ে দেখেছেন। ’
টকশো’র উপস্থাপকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি যা দেখি তা থেকে মনে হয়েছে তিনি (কোহেন) পুরোপুরি ভুল কিছুই করেননি। ওই সময় তহবিল সংগ্রহের কোনো প্রচারাভিযান ছিল না। ’
এরপর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে টেলিফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এদিকে টেলিভিশনে ট্রাম্পের বক্তব্যের বক্তব্যের পরই এ বিষয়ে সাড়া দিয়েছেন ডেনিয়েলসের আইনজীবী মাইকেল অ্যাভেনাত্তিও।
বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, মি. কোহেনের ভূমিকার জন্য আমার মক্কেল ডেনিয়েলসেরর সঙ্গে করা চুক্তির বিষয়ে কিছুই জানতেন না ট্রাম্প। এমনকি ১ লাখ ৩০হাজার ডলারের বিষটিও। আমি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলাম, এটি সম্পূর্ণ বানোয়াট হিসেবে দেখা দিতেপারে।
‘প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ট্রাম্পকে সরানোর জন্য আমাদের চেষ্টার এটি একটি বিবেচনাধীন মুহূর্ত। পাশাপাশি শপথ অনুযায়ী তিনি (প্রেসিডেন্ট) যা করবেন সবই সত্য, সেখান থেকে এই বিষয়টির সত্যতা বের করে আনতে হবে। ’
মাইকেল ডি কোহেন ট্রাম্পের আইনজীবী; তবে তার আসল কাজ হচ্ছে ট্রাম্পের বিভিন্ন বৈধ-অবৈধ কার্যকলাপ নির্বিঘ্নে শেষ করা। ডেনিয়েলসের করা একটি সিভিল মামলাতেও ট্রাম্পের হয়ে লড়ছেন তিনি।
স্টর্মি ডেনিয়েলস, যার আসল নাম স্টিফেনি ক্লিফোর্ড। পর্নো তারকা হিসেবে তার বেশ খ্যাতি রয়েছে। অভিযোগ ওঠে, ২০০৬ সালে তার সঙ্গে ট্রাম্পের পরিচয় হয়। এরপর গড়ে ওঠে সম্পর্ক। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় তাকে সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে চুপ থাকতে বলেন ট্রাম্পের আইনজীবী। এ জন্য ট্রাম্পের আইনজীবীর মাধ্যমে তাকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার অর্থ দেওয়া হয়।
এদিকে সম্প্রতি এফবিআই মাইকেল কোহেনের বাড়ি ও অফিস তল্লাশি করেছে। এ সময় কম্পিউটারসহ বিভিন্ন নথিপত্র জব্দ করা হয়। এরপরই মুখ খুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৮
এমএ/