দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বরাত দিয়ে রোববার (২৯ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র উন ইয়ং-চ্যান বলেন, উত্তর কোরীয় নেতা কিম জানিয়েছেন- তিনি এই মে মাসেই দেশটির পরমাণু পরীক্ষার কেন্দ্র ‘পুঙ্গেরি’ বন্ধ করে দেবেন।
তিনি জানান, এই কাজটি স্বচ্ছতার সঙ্গে করার ব্যাপারে উত্তর কোরিয়ার নেতা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এমনকি তিনি এ সময় দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞদের উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানোর কথাও বলেছেন।
গত শুক্রবারই (২৭ এপ্রিল) উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইনের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঐতিহাসিক ওই বৈঠকে কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণুমুক্ত করার ঘোষণা দেন তারা।
খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কয়েক মাসের বাগযুদ্ধের পর কিম ও ইনের মধ্যে প্রায় ৬৫ বছর পর এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। ক’দিন আগেও এ রকম একটি বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা ছিল অকল্পনীয়।
শুধু তাই নয়, আগামী তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথেও কিম জং-আনের বৈঠক হতে পারে বলে খবরে বলা হয়েছে।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের দপ্তর জানায়, দুই কোরিয়ার মধ্যে সময়ের ব্যবধান আধ ঘণ্টা। উত্তর কোরিয়া তার ঘড়িতে সময়ের পরিবর্তন এনে দুই দেশের মধ্যে ঘড়ির সময়ও একই করা হচ্ছে।
তবে এসব বিষয়ে উত্তর কোরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু জানায়নি।
উত্তর কোরিয়ার উত্তর-পূর্বে পাহাড়ি এলাকায় এই পরমাণু কেন্দ্রটির অবস্থান। ধারণা করা হয়, এটিই দেশটির সবচেয়ে বড় পরমাণু স্থাপনা।
সেখানে পুঙ্গেরি কেন্দ্রের কাছে মাউন্ট মান্তাপের নিচে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে বিভিন্ন সময়ে পরমাণু পরীক্ষা চালানো হয়েছে।
২০০৬ সালের পর থেকে এখানে ছ'টি পরমাণু পরীক্ষা চালানো হয়েছে। সবশেষ পরীক্ষাটি চালানো হয়, গতবছরের সেপ্টেম্বর মাসে। তারপর সেখানে বেশ কয়েকবার ভূমিকম্প হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৯
এমএ/