বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ২০১৫ সালের চুক্তিটি সংরক্ষিত না হলে বাস্তব একটি যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি হবে।
ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম রুখতে ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, জার্মানি, ফান্স এবং ব্রিটেন একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে।
যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তিতে থাকবে কিনা তা আগামী ১২ মে-এর মধ্যে জানা যাবে।
তেহরানের চুক্তিকে ‘গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বিজয়’ উল্লেখ করে গুতেরেস বলেছেন, চুক্তিটি বজায় রাখা উচিৎ।
তিনি বলেন, এ চুক্তির বিকল্প কিছু খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত এটি বর্জন করা উচিৎ নয়। এটি থেকে বের হয়ে গেলে আমরা বিপদের মুখোমুখি হতে পারি- যোগ করেন তিনি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রপক্ষ ফান্স, ব্রিটেন ও জার্মানি বর্তমান চুক্তি থেকে আপাতত সরছে না বলে জানিয়েছে।
২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তিটি ‘জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশানের’ (জেসিপিওএ) নামে পরিচিত। এই চুক্তির আওতায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে ব্যবহৃত সেন্ট্রিফিউজের সংখ্যা কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো ইরান। সেসময় মজুদ থাকা ইউরেনিয়ামের পরিমাণ পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে প্রয়োজনীয় মাত্রার নিচে নামিয়ে আনার শর্তেও দেশটি রাজি হয়।
চুক্তির পরপরই ইরান তাদের নাতাঞ্জ ও ফোরদো কেন্দ্রে স্থাপিত সেন্ট্রিফিউজের সংখ্যা কমিয়ে আনে এবং প্রচুর ইউরেনিয়াম রাশিয়ায় পাঠিয়ে দেয়।
এরপর থেকে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রতিনিধিদল তেহরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৮
আরআর