কেনিয়ান রেডক্রসের বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সপ্তাহব্যাপী টানা বর্ষণের পর বন্যা ও ভূমিধসে এ হতাহতে ঘটনা ঘটেছে।
২০১৭ সালে পূর্ব আফ্রিকাজুড়ে ব্যাপক ‘খরা’র পর এ বছরের বৃষ্টিপাত ‘আশার’ বদলে নতুন করে ‘অভিশাপ’ হয়ে ধরা দিয়েছে আফ্রিকা মহাদেশের দেশটির জনগণের কাছে।
টানা বর্ষণে তানা নদীর পানি তীর উপচে আশপাশের এলাকা প্লাবিত হলে রেডক্রসের পক্ষ থেকে উদ্ধার অভিযান চালানো হয়।
এদিকে বৈরী আবহাওয়ায় পাশ্ববর্তী সোমালিয়াতেও বিরূপ প্রভাব পড়েছে। জাতিসংঘ ধারণা করছে, এতে অন্তত ৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এরইমধ্যে পৌনে ২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
অন্যদিকে বন্যা উপদ্রুত এলাকায় ম্যালেরিয়া ও কলেরার প্রার্দুভাব দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করে বিশেষজ্ঞরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, পরিস্থিতি ভয়াবহ ও মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। যা দ্রুত অন্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অকাল বন্যায় কেনিয়ার অনেক এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, এমনকি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে বিশুদ্ধ পানি সংরক্ষণ কেন্দ্রও।
এ অবস্থায় জরুরি খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, বাসস্থান, চিকিৎসা সেবাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। একই আহ্বান নিয়ে এগিয়ে এসেছে জাতিসংঘও।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৮
জেডএস