স্থানীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, শুক্রবার (০৪ মে) দিনগত রাত সাড়ে ১১টার সময় ঘড়ির কাঁটা ৩০ মিনিট এগিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, উত্তরের নেতা কিমের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে বৈঠক রয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) দু’দেশের সীমান্তবর্তী গ্রাম ‘পানমুনজমে’ উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার দুই প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন ও মুন জে-ইন ঐতিহাসিক বৈঠকের পর পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে একমত হয়। এরপর যৌথ ঘোষণায় সই করেন কিম ও মুন।
দুই নেতা যে বাড়িতে ঐতিহাসিক বৈঠক করেন, সেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘পিস হাউস’ বা শান্তির বাড়ি। এই শান্তির বাড়িতে কিম ও মুনের মধ্যে আলোচনার পর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইয়ুন ইয়াং-চ্যান এক বিবৃতিতে বলেন, দুই রাষ্ট্রপ্রধান কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ ও দীর্ঘমেয়াদী শান্তি প্রতিষ্ঠা নিয়ে আন্তরিক ও খোলামেলা আলোচনা করেছেন। তারা গুরুত্বের সঙ্গে আলাপ করেছেন আন্তঃকোরিয়া সম্পর্কোন্নয়নের বিষয়টি নিয়েও।
চ্যানের ওই বিবৃতির পর দেওয়া যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, ‘পুরোপুরি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের মাধ্যমে পরমাণুমুক্ত কোরিয়া উপদ্বীপ গড়ে তোলার অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া দৃঢ়ভাবে একমত। কোরীয় উপদ্বীপে আর কখনও যুদ্ধ হবে না। আর এখান থেকেই শান্তির নবযুগের সূচনা হলো। ’
যৌথ ঘোষণায় জানানো হয়, আগামী মে মাসেই পিয়ংইয়ং ও সিউলের শীর্ষ পর্যায়ের সামরিক সংলাপ হবে। পূর্ণমাত্রায় চুক্তিকে এগিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে নিয়ে বহুপাক্ষিক সংলাপও করবে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৬ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৮
জেডএস