ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম রুখতে ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, জার্মানি, ফান্স এবং ব্রিটেন একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। তবে ট্রাম্প শুরু থেকেই এ চুক্তির কঠোর সমালোচনা করে আসছেন।
হোয়াইট হাউজ এ বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি।
তবে জাতিসংঘ জানিয়েছে, এ চুক্তির বিকল্প কিছু খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত এটি বর্জন করা উচিৎ নয়।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রপক্ষ ফান্স, ব্রিটেন ও জার্মানিও বর্তমান চুক্তি থেকে আপাতত সরছে না বলে জানিয়েছে।
ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলো মনে করছে, ইরানকে রুখতে এই চুক্তিই সবচেয়ে ভালো পন্থা।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব বরিস জনসন ট্রাম্পকে চুক্তি থেকে সরে না যেতে অনুরোধ জানিয়েছেন।
এদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি তার দেশের জনগণকে সতর্ক করে জানিয়েছেন, আমাদের আগামী কয়েক মাস কিছু সমস্যার মোকাবিলা করতে হতে পারে। কিন্তু আমরা কাজ চালিয়ে যাবো।
২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তিটি ‘জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশানের’ (জেসিপিওএ) নামে পরিচিত। এই চুক্তির আওতায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে ব্যবহৃত সেন্ট্রিফিউজের সংখ্যা কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো ইরান। সেসময় মজুদ থাকা ইউরেনিয়ামের পরিমাণ পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে প্রয়োজনীয় মাত্রার নিচে নামিয়ে আনার শর্তেও দেশটি রাজি হয়।
চুক্তির পরপরই ইরান তাদের নাতাঞ্জ ও ফোরদো কেন্দ্রে স্থাপিত সেন্ট্রিফিউজের সংখ্যা কমিয়ে আনে এবং প্রচুর ইউরেনিয়াম রাশিয়ায় পাঠিয়ে দেয়।
এরপর থেকে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রতিনিধিদল তেহরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৮
আরআর