সোমবার (১৪ মে) দূতাবাসটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের আগে বিক্ষোভের সময় এ হামলা ঘটনা ঘটে। এতে শিশুসহ আড়াই হাজারের মতো মানুষ আহত হয়েছেন।
এদিকে ইসরায়েলি সৈন্যদের গুলিতে একদিনেই ৫২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত গাজায় যা ঘটছে তাকে এক বর্বরোচিত আক্রমণ বলে বর্ণনা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র যেদিন ইসরায়েলে তাদের দূতাবাস জেরুসালেমে সরিয়ে নিল। সেদিন এই ব্যাপক হত্যাকাণ্ড ঘটলো গাজায়। নিহতদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে। দু’হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি ইসরায়েলের হামলায় আহত হয়েছে। ২০১৪ সালে গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর একদিনে এতো বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার ঘটনা আর ঘটেনি।
মিশর অভিযোগ করেছে, ইসরায়েল ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের টার্গেট করছে।
অন্যদিকে তুরস্ক এ ঘটনাকে হত্যাযজ্ঞ বলে বর্ণনা করেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনার জেইদ বিন রাদ জেইদ আল হুসেইন বলেছেন, যারা এ জঘন্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী, তাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলছেন, তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়ার ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালায়।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই গাজা-ইসরায়েল সীমান্তে ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভ চলছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ইসরায়েল। কিন্তু ইউরোপসহ সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এ তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
তেল আবিব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হওয়ার পর থেকেই ফিলিস্তিনিরা এ বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে আসছে। ‘গ্রেট মার্চ অব রিটার্ন’ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গাজার ক্ষমতাসীন নেতা হামাসের নেতৃত্বে ফিলিস্তিনিরা ছয় সপ্তাহ ধরে সীমান্তে এ বিক্ষোভ করে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২১১ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৮
এসকে/এএটি