শনিবার (১৯ মে) তিনি এ পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে। এ বিষয়ে ভারতীয়দের অনেকেই বলছেন, আস্তাভোটে ইয়েদুরাপ্পাকে হারানোর অনেক সুযোগ রয়েছে।
আস্তাভোটে বিজেপি’র বিরুদ্ধে নির্বাচনী দুর্বলতা দেখার আগেই তিনি ভাষণে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এসময় তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন, আমি মুখ্যমন্ত্রী থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছি। রাজভবনে যাব এবং পদত্যাগ করব। রাষ্ট্রের অস্তিত্বে চলব আমি। আমরা রাজ্যের মানুষের অসাধারণ ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়েছি। আগামীতে আমরা রাজ্যের ২৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২৮টিই পাব বলে আশা করছি। আমি অবশ্যই দুর্বল হব না। কেননা লড়াই চালিয়ে যেতে হবে আমাকে।
তিনি আরও বলেন, এমন অগ্নিপরীক্ষা জীবনে অনেকবার দিয়েছি। আবারও দেব। আমাকে হারানোর কিছু নেই। সাধারণ মানুষের জন্যই আমার জীবন। ভোটাররা আমায় ১১৩টি আসন দিলে কর্ণাটককে আমি শান্তির রাজ্যে পরিণত করতাম। তারপরও বলব, কংগ্রেস বা জেডিএসের পক্ষে জনসমর্থন ছিল না। আমরা ১০৪টি আসন পেয়েছি। সাধারণ মানুষ আমাদের নির্বাচিত করেছেন।
তিনি এও বলেন, আমি গত দু’বছর গোটা রাজ্য ঘুরেছি। কর্ণাটকের সাধারণ মানুষের দুর্দশা দেখেছি। আমাকে তারা ভালোবাসেন। আমি জনগণের মাঝে আছি এবং থাকতে চাই। সেজন্য কর্ণাটকের জনগণকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদও জানাই।
বিধানসভায় এ ভাষণের পরই রাজভবনে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন ইয়েদুরাপ্পা। বৃহস্পতিবার (১৭ মে) স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। শনিবার এসে সরে দাঁড়ালেন এ পদ থেকে। আর এ থেকে ইতিহাস সৃষ্টি হয়ে মাত্র আড়াই দিনেই কর্ণাটকে সমাপ্তি ঘটলো বিজেপি সরকারের।
বাংলাদেশ সময়; ১৮০৪ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৮
টিএ