হাওয়াইয়ের পুনা জিওথার্মাল ভেনচার পাওয়ার প্ল্যান্টটি ইতোমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং সেখান থেকে প্রায় ৬০ হাজার গ্যালন জ্বালানি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই পাওয়ার প্ল্যান্টটি থেকে দ্বীপটির প্রায় ২৫ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
পাওয়ার প্ল্যান্টের কর্মীরা এখন সেখানকার তিনটি কূপ বন্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। মাটির প্রায় ছয় হাজার ফুট গভীরে স্থাপিত কূপগুলো থেকে প্রাপ্ত গরম পানি ও বাষ্প দিয়ে টার্বাইন চালনার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
হাওয়াইয়ের গভর্নর ডেভিড আইজি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, পাওয়ার প্ল্যান্টে লাভা পৌঁছে গেলে বড় ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা থাকায় তা বন্ধ করা হচ্ছে।
জানা যায়, লাভা এখন পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে ২৫০ থেকে ৩০০ গজ দূরে রয়েছে। ইতোমধ্যেই পাওয়ার প্ল্যান্টের দুইটি কূপ বন্ধ করা সম্ভব হলেও, তৃতীয়টি বন্ধ করতে বেগ পেতে হচ্ছে সেখানকার কর্মীদের।
এদিকে পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের পানিতে লাভা এসে পড়লে বিষাক্ত এসিডের মেঘ সৃষ্টি হয়। শক্তিশালী বায়ু প্রবাহের ফলে এই মেঘ উপকূলের প্রায় ২৪ কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং এ থেকে বিষাক্ত এসিডের বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কায় স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
হাওয়াইতে এখন প্রায় ২৪টি ফাটল দিয়ে লাভা নির্গত হচ্ছে। এপর্যন্ত লাভায় কমপক্ষে ৪৪ ঘর-বাড়ি ধ্বংস হয়েছে, সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সেখানকার হাজার হাজার বাসিন্দাকে। ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে হাওয়াইয়ের পর্যটন শিল্প।
মাউন্ট কিলাউয়ার এই অগ্নুৎপাত শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলোর মধ্যে অন্যতম বলে জানাচ্ছেন ভূ-তাত্ত্বিকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৩ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৮
এনএইচটি