যুবরাজকে নিয়ে সৃষ্ট যাবতীয় জল্পনা-কল্পনা ও রটানো গুজবে পানি ঢালতে তার সাম্প্রতিক কিছু ছবি প্রকাশ করেছে সৌদির রাজপরিবার। ছবিগুলোতে দেখা যায়, সৌদি আরবের কাউন্সিল ফর ইকোনোমিক অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাফেয়ার্সের একটি মিটিংয়ে সভাপতিত্ব করছেন সালমান।
প্রতিবেশী রাষ্ট্র লেবানন ও ইয়েমেনে প্রভাব বিস্তার নিয়ে ভয়ঙ্কর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে মধ্য প্রাচ্যের দুই পরাশক্তি সৌদি আরব ও ইরান।
ইরানের সবচেয়ে রক্ষণশীল পত্রিকা বলে পরিচিত কায়হানে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ২১ এপ্রিল রাতে রাজপ্রাসাদে একটি অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টা চালানো হয় এবং এ ঘটনায় দেশটির ভবিষ্যৎ বাদশাহ আটক অথবা নিহত হয়েছেন। গুলি ও বিস্ফোরণের সময় বিন সালমানের গায়ে দু’টি বুলেটবিদ্ধ হয়। তারপর থেকে তাকে আর জনসম্মুখে দেখা যায়নি। তাছাড়া গুলি ও বিস্ফোরণের কিছু ছবি ও ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ পায়।
আরেকটু খোলাসা করে ইরানের প্রেস টিভি বলে, এপ্রিলের শেষ দিকে রিয়াদে মার্কিন স্বরাষ্ট্র সচিব মাইক পমপেও’র প্রথমবারের মতো রিয়াদ সফরে এলে, এ সফরকালীন কোনো ছবিতেই সালমানকে দেখা যায়নি।
অবশ্য রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা স্পুটনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেদিন রাতের পর এমন সব জল্পনা তৈরি হলেও সপ্তাহখানেক পরের এক অনুষ্ঠানেও বিন সালমানকে দেখা যায়। আর সৌদি রাজপরিবারের
আর সৌদি রাজ পরিবারের দাবি, গোলাগুলির দিন রাজপ্রাসাদের গেটের কাছে একটি খেলনা ড্রোন উড়ে এলে, তা গুলি করে নামায় সেখানকার নিরাপত্তারক্ষীরা।
গত বছরের জুনে ভাতিজা মোহাম্মদ বিন নায়েফকে সরিয়ে ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমানের ‘ভবিষ্যৎ বাদশাহ’ হওয়ার পথ সুগম করতে তাকেই ক্রাউন প্রিন্স বানান সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ। তারপর থেকে কার্যত সৌদি রাষ্ট্রই যেন চালাচ্ছিলেন সালমান। সৌদি রাজত্বের রাজনৈতিক, সামরিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে নানা অভাবনীয় সংস্কার আনেন তিনি। এমন সংস্কার আনেন যে, তার হাত ধরে ‘আধুনিক প্রগতিশীল সৌদি আরব’ গড়ার সূচনাও দেখছিলেন অনেক পর্যবেক্ষক।
যদিও এই সংস্কার কার্যক্রমে ইরান-কাতারের সঙ্গে বাকযুদ্ধে জড়ানোর পাশাপাশি ইয়েমেন-সিরিয়া যুদ্ধেও ভূমিকার জন্য সমালোচনায় পড়েন তিনি। সবশেষ ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে ইসরায়েলের প্রতি অনুকম্পামূলক একটি মন্তব্যও তুমুল সমালোচনার ঝড় তোলে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৮ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৮
এনএইচটি