২৪ মে কিমের কাছে ট্রাম্প ব্যক্তিগত চিঠি লিখে ১২ জুন নির্ধারিত সিঙ্গাপুর বৈঠক বাতিল করলেও ২৫ মে বললেন, এটা একটা খেলা। যা সবাই খেলে।
তিনি বলেন, এ কারণেই ১২ জুন সিঙ্গাপুরে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে তার যে শীর্ষ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল- তা হয়তো হতেও পারে।
ট্রাম্প বলেন, আমরা দেখছি কী হয়, এমন কী ১২ তারিখেও এটা হতে পারে। আমরা এখন তাদের সঙ্গে কথা বলছি। তারা খুব করে চাইছে এটা হোক, আমরাও এটা করতে চাই।
২৪ মে ট্রাম্প ওই শীর্ষ বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার জন্য উত্তর কোরিয়ার 'নগ্ন বৈরিতা'কে দায়ী করেন।
যদিও উত্তর কোরিয়া জবাবে বলেছে, তারা যে কোনো সময় যে কোনোভাবে এ বৈঠক করতে চায়।
আজ ট্রাম্প বললেন, তারা (উত্তর কোরিয়া) একটা খুব সুন্দর বিবৃতি দিয়েছে। এই খেলা সবাই খেলে।
২৪ মে উত্তর কোরিয়ার উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম কাই-গোয়ান বলেছিলেন, ট্রাম্পের এ শীর্ষ বৈঠক বাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত দুঃখজনক। যদিও এদিন উত্তর কোরিয়া তাদের পারমানবিক পরীক্ষাগার ধ্বংস করে ফেলে।
এদিকে, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস সাংবাদিকদের বলেছেন, আমরা সম্ভবত কোরিয়া শীর্ষ বৈঠকের ব্যাপারে কিছু ভালো খবর পেয়েছি। আমাদের কূটনীতিকরা যদি ব্যাপারটা করতে পারে, তাহলে হয়তো সেটা হয়ে যেতেও পারে।
ট্রাম্প-কিম বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন সম্ভাব্য পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা করতে রাজি আছেন- এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা।
কিন্তু মার্কিন কর্মকর্তারা নিরস্ত্রীকরণের ব্যাপারে লিবিয়ার দৃষ্টান্ত দিয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলার পর উত্তর কোরিয়া ক্ষিপ্ত হয়।
উত্তর কোরিয়া বলেছিল, তারা একটি পূর্ণ পারমাণবিক শক্তিধর দেশ- লিবিয়া নয় এবং তাদের নেতৃত্ব বা রাষ্ট্র বিপন্ন হতে পারে এমন কোনো শান্তি প্রক্রিয়ায় তারা জড়িত হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৬ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৮
আরএম/