এই বৈঠকের বিষয়ে দূতিয়ালি করতে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়া উত্তর কোরিয়ার একজন শীর্ষ কূটনীতিকের সঙ্গে বৈঠকের পর শুক্রবার (১ জুন) হোয়াইট হাউসে ব্রিফিংয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ ঘোষণা দেন।
গত এপ্রিলে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনার অবসানের পর ট্রাম্পের সঙ্গে কিমের বৈঠক ঘোষিত হয়।
তার ক’দিন পর উত্তর কোরিয়া সরকারের দূত জেনারেল কিম ইয়ং চোল উড়ে চলে আসেন ওয়াশিংটনে। হোয়াইট হাউসের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকতার পর বৈঠক করেন ট্রাম্পের সঙ্গে। এরপর কিমের দেওয়া একটি চিঠি ট্রাম্পের হাতে হস্তান্তর করেন।
ট্রাম্প ব্রিফিংকালে বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিল কি-না, তা নিশ্চিত নয়। তবে যে চিঠিটা কিম দিয়েছেন তা আকর্ষণীয় এবং এর কিছু ক্ষেত্রে সঠিকও। ’ যদিও চিঠিটি তিনি পড়েননি এবং উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকার বিষয় নিয়ে দূত চোলের সঙ্গে কথা বলেননি বলেও ব্রিফিংয়ে জানান তিনি।
পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে বছরের পর বছর ধরে কোরীয় উপদ্বীপে যে উত্তেজনা চলছিল তা শিথিল হয়ে আসে গত এপ্রিলের শেষভাগে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার দুই নেতা কিম ও মুন জে-ইনের মধ্যকার ঐতিহাসিক বৈঠকের পর। এরপর আরও একবার বৈঠক করেন দুই নেতা। তাদের বৈঠকেই কিমের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকের বিষয়টি নির্ধারিত হয়।
কিম ও মুনের বৈঠকের পর উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক বোমা তৈরির কেন্দ্র ধ্বংসের খবর পাওয়া যায়, মূলত যেটাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান কোণঠাসা করে ফেলছিল পিয়ংইয়ংকে। পর্যবেক্ষকদের আশা, পরমাণু কেন্দ্র ধ্বংসের পর ট্রাম্প-কিমের বৈঠক কোরীয় উপদ্বীপের পরিস্থিতিকে আরও শান্ত করে দিতে পারে। সেই আশা পূরণ হয় কি-না, সেদিকেই চোখ কোরীয়দের।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৩ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৮
ইএআর/এইচএ/