শনিবার (০২ জুন) সিঙ্গাপুরে আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয়ক সম্মেলন ‘সাংগ্রি লা ডায়ালগে’ তিনি এ কথা জানান।
থাং তুন বলেন, যদি স্বেচ্ছায় সাত লাখ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানো হয়, তাহলে আমরা তাদের গ্রহণ করতে রাজি আছি।
সংলাপে মিয়ানমারের নিরাপত্তা উপদেষ্টার কাছে প্রশ্ন করা হয়, দেশটির রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতিতে কী জাতিসংঘের সুরক্ষা দায়বদ্ধতা (আরটুপি) কাঠামো চালু হতে পারে?
২০০৫ সালে জাতিসংঘ সম্মেলনে কথিত ওই আরটুপি ফ্রেমওয়ার্ক গৃহীত হয়; যেখানে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, জাতিসংঘ নিধন ও মানবতাবিরোধী অপরাধ থেকে নিজেদের জনগণকে রক্ষায় সম্মতি জানায় সদস্য দেশগুলো।
ওই ফ্রেমওয়ার্কে এই অঙ্গীকার রক্ষায় একে অপরকে উৎসাহ দেওয়া ও সহযোগিতার সমন্বিত দায়িত্ববোধের কথা বলা হয়েছে।
মিয়ানমারের রাখাইনে নিপীড়নের শিকার হয়ে গত কয়েক দশকে বাংলাদেশে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে নতুন করে ফের রাখাইনে সেনা অভিযান শুরু হয়। এরপর নাফ নদী পেরিয়ে নতুন করে আশ্রয় নিয়েছে আরও সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা।
কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, ওই অভিযানে তাদের বাড়িঘরে অগ্নি সংযোগ, নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাটের মতো ঘটনা ঘটেছে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে সেখানকার স্থানীয় মগড়াও তাদের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে।
এরপর থেকেই বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। জাতিসংঘ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এটিকে ‘জাতিগত নির্মূল’ অভিযান হিসেবে বর্ণনা করেছে। এ বিষয়ে নিরাপত্তা সম্মেলনে মিয়ানমারের উপদেষ্টা বলেন, তবে এটাকে কি জাতিগত নিধন বলা যায়?
‘সেখানে তো কোনো যুদ্ধ চলছে না। সুতরাং এটা যুদ্ধাপরাধ নয়। এটাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। কিন্তু এজন্য আমাদের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ প্রয়োজন। গুরুতর এই অভিযোগ প্রমাণ করা উচিত। বিষয়টিকে যেনতেনভাবে নেওয়া ঠিক হবে না। ’
এদিকে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। গঠন করা হয়েছে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ। তবে এ বিষয়ে দৃশ্যত কোনো কাজ করছে না মিয়ানমার।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৮
এমএ/