এসময় ইউরোপীয় ইউনিয়নকে রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে পুতিন জানান, তিনি একটি ‘সংঘবদ্ধ ও সমৃদ্ধশালী’ ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেখতে চান। এছাড়াও তিনি রাশিয়ার ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টি এবং অস্ট্রিয়ার ফার রাইট ফ্রিডম পার্টির পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রায় এক বছর পর পশ্চিম ইউরোপের কোনো দেশে সফরে এলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। এ সফরে পুতিন অস্ট্রিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভ্যান ডার বেলেন এবং চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান কুর্জের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়া বিভিন্ন ব্যবসায়িক নেতাদের সঙ্গেও আলোচনায় অংশ নেবেন।
পুতিন বলেন, ইইউতে সমস্যা সৃষ্টি হলে তা আমাদের জন্যেও ঝুঁকিপূর্ণ। আমাদের উচিত ইইউ-এর সঙ্গে সহায়তা গড়ে তোলা। এখান থেকে কাউকে বিভক্ত করার ইচ্ছে আমাদের নেই।
এর আগে ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখল ও পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন করার জেরে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, চার বছর আগে পশ্চিমের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছেন পুতিন। সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন ও ইউরোপের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা পুতিনকে তার লক্ষ্যের অনেক কাছে এগিয়ে এনেছে। আর এক্ষেত্রে ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে তাকে লাভবান হওয়ার সুযোগ দিতে চলেছে অস্ট্রিয়া।
যদিও সিরিয়া ও ইউক্রেনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ ও পক্ষত্যাগী গোয়েন্দার ওপর বিষাক্ত গ্যাস হামলার জেরে এখনও পুতিন দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছে ইউরোপের প্রধান প্রধান রাষ্ট্র, তবুও ইউরোপ ও রাশিয়াকে শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও একত্রে বেঁধে রেখেছে 'জ্বালানি'। আর এই বিষয়ে রাশিয়ার পুরনো বন্ধু অস্ট্রিয়া। অস্ট্রিয়াই প্রথম পশ্চিম ইউরোপীয় দেশ যারা সোভিয়েত জ্বালানি গ্যাস আমদানী শুরু করে। বর্তমানে ইউরোপের এক-তৃতীয়াংশ জ্বালানি গ্যাস সরবরাহ করে রাশিয়া।
অস্ট্রিয়া সফর শেষে প্রেসিডেন্ট পুতিন বেশ অত্মবিশ্বাসী মেজাজেই ভিয়েনা ফিরবেন বলে আশা বিশ্লেষকদের।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৮
এনএইচটি