জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা কনরেডের মুখপাত্র ডেভিড দে লিওন স্থানীয় বাসিন্দাদের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে দূরে থাকতে বলেন।
জানায় যায়, কনরেডের সঙ্গে অগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞদলের মধ্যকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের সেখান থেকে সরিয়ে ফেলার কাজ সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ থাকে।
গুয়েতেমালার দুর্যোগ ও ফরেনসিক সংস্থা ইনাসিফ বলছে, ‘ফুয়েগো’ অগ্ন্যুৎপাতে নিহতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। চার দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ এ অগ্ন্যুৎপাতে নিহতের সংখ্যা এখন ১০৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
গুয়েতেমালার পাবলিক প্রসিকিউটর বৃহস্পতিবার (৭ জুন) বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রোটোকল যথাযথভাবে অনুসরণ হচ্ছে কিনা তা তদন্ত করা হবে।
এদিকে অগ্নেয়গিরি থেকে বিপুল পরিমাণ ছাই নিকটবর্তী শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। উদ্ধারকর্মীরা লাভা ও ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন এলাকাগুলো থেকে বিপদগ্রস্ত মানুষকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
গত ৩ জুন গুয়েতেমালার রাজধানীর ৪৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ফুয়েগো নামের এই আগ্নেয়গিরিটি জেগে উঠে। চারদিক ছড়িয়ে পড়তে থাকে ছাই। রাজধানী গুয়াতেমালা সিটির প্রায় ৪৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এই আগ্নেয়গিরির লাভা-ছাইয়ে আক্রান্ত হতে থাকে বারানকাস দে সেনিজাস, মিনারেল, সেকা, তানিলুয়া, লাস লাজাস, বারানকা হোন্ডাসহ অনেক জনপদ।
জানা যায়, এই আগ্নেয়গিরিতে সর্বপ্রথম ১৯৭৪ সালে অগ্ন্যুৎপাত হয়। তারপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে এর লাভা-ছাই ছড়াতে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৮
এএইচ/এনএইচটি