শুক্রবার (৮ জুন) কানাডায় এই জোটের সম্মেলনে ট্রাম্পের এই বক্তব্যের জেরে নতুন বির্তকের সৃষ্টি হয়।
২০১৪ সালে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখলের কারণে এই জোট থেকে রাশিয়াকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
রাশিয়ার এই জোটে ফিরে আসার ব্যাপারে ট্রাম্প বলেছেন, আপনারা এটা পছন্দ করেন বা না করেন, কিংবা এটা রাজনৈতিকভাবে সঠিক হোক বা ভুল, রাশিয়ার ফিরে আসা দরকার। কেননা আমাদের একইসঙ্গে বিশ্ব এবং জি-৭ পরিচালনা করতে হবে। মধ্যস্থতার আলোচনায় আমাদের রাশিয়াকে প্রয়োজন।
ব্রিটিশ সরকারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, জি-৭-এ ফিরে আসার যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাশিয়াকে তার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ভাবতে হবে।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতির একটি সূত্র বলছে, মস্কোর অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের সঙ্গে ট্রাম্পের এই প্রস্তাব সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
এদিকে রাশিয়া ট্রাম্পের এই প্রস্তাবকে তিরস্কার করেছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থাকে বলেছে, জি-৭ বাদে অন্য বিষয়ের জন্য রাশিয়া লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
তবে ইতালির নতুন প্রধানমন্ত্রী জুইসেপে কন্তে ট্রাম্পের এই বক্তব্যকে সমর্থন করে এক টুইটে বলেছেন, সবার এই প্রস্তাবে সম্মত হওয়া দরকার।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের কমপক্ষে তিনজন রিপাবলিকান সিনেটর ট্রাম্পের এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন।
সিনেটর বেন স্যাসি বলেছেন, পুতিন আমাদের বন্ধু নয়। সে ট্রাম্পেরও বন্ধু নয়।
মার্কিন সিনেটের ডেমোক্রেটিক নেতা স্কুমার ট্রাম্পের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেছেন, আমাদের প্রেসিডেন্টের বন্ধু এবং প্রতিপক্ষকে আলাদা করতে জানতে হবে। এবং সেভাবেই তাদের সঙ্গে আচরণ করতে হবে।
উল্লেখ্য, ট্রাম্প এর আগেও কয়েকবার রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বের ঘোষণা দিয়েছিলেন। যদিও ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিতে মস্কোর ওপর প্রবল নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এছাড়াও, ২০১৬ সালে মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষে পুতিনের প্রচারণার দায়ে তদন্তও চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৫ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৮
এএইচ/এনএইচটি