এদিক, বিশ্লেষকরাও মনে করছেন, ৯ মে মালয়েশিয়ার নির্বাচনে নাজিবের হারের পর যুক্তরাষ্ট্রের এই তদন্তে অনেকটা গতি এসেছে।
মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক এই অর্থ তহবিল গঠন করেছিলেন।
এরপর যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, সুইজারল্যান্ডসহ কমপক্ষে ছয়টি দেশ নাজিবের বিরুদ্ধে এ অভিযোগের তদন্ত করছে। তবে নাজিব রাজাক তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই তদন্তের সঙ্গে জড়িত দুইজন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) মালেশিয়ার নতুন সরকারের সহযোগিতার ব্যাপারে আশাবাদী। এর আগে নাজিব এই তদন্তকাজকে বাধাগ্রস্ত করেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, তারা নাজিব ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিবেচনায় নিয়েছেন। তবে তারা মনে করেন, মালয়েশিয়াকেই তাদের কোনো কর্মকর্তার বিরদ্ধে আইনগতভাবে অভিযোগ উত্থাপন করতে হবে।
এর আগে তারা গত বছর আদালতনামায় ১এমডিবি তহবিল থেকে অর্থপাচারের অভিযোগ আনেন। পরে পাচার করা এই অর্থ কিছু ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্টে জমা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন এসব আইনজীবীরা।
এদিকে, মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বলেছেন, বিনিয়োগকারী লো তাইক জো’কে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে মালয়েশিয়া সরকার। তাইক জো ১এমডিবি তহবিল কেলেঙ্কারির আলোচিত একজন।
নাজিবের হারের পর মালেশিয়ার নতুন সরকার ১এমডিবি তহবিল থেকে পাচার করা অর্থ পুনরুদ্ধারের জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৮
এএইচ/টিএ/