এই দুই নেতার প্রথম বৈঠকের উল্লেখযোগ্য পাঁচটি বিষয় নিয়ে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য এ আয়োজন:
১. পতাকা
উত্তর কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ঘিরে উভয় দেশের পতাকা পাশাপাশি সারিবদ্ধ ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দুই দেশকে সহযোগী ও সমকক্ষ হিসেবে বোঝানো হয়।
২. কোরিওগ্রাফি
ট্রাম্প প্রথমে হোটেল ছাড়লেও কিম পৌঁছানোর সাত মিনিট পর কাপেলা হোটেলে প্রবেশ করেন ট্রাম্প। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ট্রাম্পকে শ্রদ্ধা জানানোর নমুনা হিসেবে ট্রাম্পের আগে বৈঠকস্থলে পৌঁছান। এই দুই নেতা পাশাপাশি হেঁটেছিলেন। তাদের মধ্যে প্রথম হাত প্রসারিত করেছেন ট্রাম্প।
৩. করমর্দন
ট্রাম্প এবং কিম বৈঠক শুরুর আগে দুই দেশের পতাকার সামনে করমর্দন করেন। তারা প্রায় ১২ সেকেন্ড সময় ধরে করমর্দন করেছিলেন। এর আগে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সাথে ২৬ সেকেন্ড ধরে করমর্দন করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ।
৪. গুরুত্বপূর্ণ উক্তি
ট্রাম্প এই বৈঠককে সম্মান হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, দুই দেশের মধ্যে একটি অসাধারণ সম্পর্ক স্থাপন হবে। এই সময়ে কিম তাদের দেশের পুরনো একতরফা মনোভাব এবং এর চর্চা স্বীকার করেন। যার কারণে দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়ার মধ্যে শীতল সম্পর্ক বিরাজ করছিল।
৫. বৈঠকের সময়
ট্রাম্প এবং কিম প্রায় ৪০ মিনিট ধরে বৈঠক করেন। এসময় তাদের সঙ্গে উভয় দেশের অনুবাদকরা উপস্থিত ছিলেন। ট্রাম্প এই বৈঠকে অসাধারণ সম্পর্ক স্থাপনের কথা বলেন। এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, কিম পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগের বিষয়ে সচেতন না হলে, তিনি মাত্র এক মিনিটের জন্য কথা বলতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০, জুন ১২, ২০১৮
এএইচ/এনএইচটি