বুধবার (৮ আগস্ট) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, শীতকালের শুষ্ক আবহাওয়া তীব্রতর হওয়ায় এ খরা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
খবরে বলা হয়, বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে নিউ সাউথ ওয়েলস প্রদেশে ‘শতভাগ খরা পরিস্থিতি’ ঘোষণা করে দেশটি।
কর্মকর্তারা বলছেন, অস্ট্রেলিয়ার মোট কৃষিজাত পণ্য উৎপাদনের প্রায় এক চতুর্থাংশ উৎপাদন হয় নিউ সাউথ ওয়েলস প্রদেশে।
খরা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় জরুরী ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য প্রায় ৫৮ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার অর্থ সহায়তা দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ও প্রদেশের সরকার।
দেশটির প্রাথমিক শিল্প বিভাগের মন্ত্রী নিয়াল ব্লেইর বলেন, এমন কেউ নেই যে কৃষক ও প্রদেশের মানুষদের জন্য বৃষ্টি কামনা করেনি।
অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া সংস্থা বলছে, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় শুষ্ক শরতের মুখোমুখি হয়েছে। যেখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিলো ৫৭ মিলিমিটারের নিচে।
এছাড়া চলতি বছরের জুলাইয়ে নিউ সাউথ ওয়েলসের বিভিন্ন অঞ্চলে ১০ মিলিমিটারের নিচে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। আগামী দিনগুলোতে স্বাভাবিকের থেকে আরও শুষ্ক পরিস্থিতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার নিউ সাউথ ওয়েলস প্রদেশের ২৩ শতাংশ অঞ্চলকে তীব্রতর খরা পরিস্থিতির শিকার বলে ঘোষণা দেন সরকারি কর্মকর্তা। এছাড়া প্রদেশের বাকি অঞ্চলগুলোকে খরা আক্রান্ত হিসেবে ঘোষণা করেন তারা।
তবে খরা পরিস্থিতি শুধু নিউ সাউথ ওয়েলস প্রদেশেই সীমাবদ্ধ নেই। পাশ্ববর্তী কুইন্সল্যান্ডের অর্ধেকেরও বেশি জায়গায় খরা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এছাড়াও খরা দেখা দিয়েছে ভিক্টোরিয়া ও দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার অনেক জায়গাতেও।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৮
এএইচ