ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

আমাদের সহায়তা ছাড়া টিকবেন না, সৌদি বাদশাহকে ট্রাম্প 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১৮
আমাদের সহায়তা ছাড়া টিকবেন না, সৌদি বাদশাহকে ট্রাম্প  ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ। ফাইল ছবি

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাদের মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় আরব মিত্র রাষ্ট্র সৌদি আরবের ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে একেবারে ‘অকূটনৈতিক মন্তব্য’ করে বসেছেন। এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়া সৌদি বাদশাহ বা তার রাজত্ব দুই সপ্তাহও ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন না। তার এই মন্তব্যের জেরে আলোচনার ঝড় উঠেছে উভয় দেশের কূটনৈতিক পাড়ায়। 

মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপির সাউথহ্যাভেনে এক সমাবেশে ট্রাম্প ওই বেফাঁস মন্তব্যটি করে বসেন। পর্যবেক্ষকরা ট্রাম্পের এ মন্তব্যকে ‘অকূটনৈতিক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

 

ট্রাম্প বলেন, আমি সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদকে সতর্কতা দিয়ে বলেছি, মার্কিন সামরিক বাহিনীর সহায়তা ছাড়া সৌদি বাদশাহ ‘দুই সপ্তাহ’ও তারা ক্ষমতায় টিকতে পারবেন না।  

তিনি আরও বলেন, আমরা সৌদি আরবকে সুরক্ষা দেই। আপনি কি তাদের ধনী বলবেন? আর আমি ওই বাদশাহকে ভালবাসি, বাদশাহ সালমান। কিন্তু আমি বাদশাহকে বলেছিও, আমরা আপনাদের সুরক্ষা দেই, আমাদের সহায়তা ছাড়া আপনি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।  

তবে ট্রাম্প কবে এবং কোথায় সৌদি বাদশাহকে এ কথা বলেছেন, সে বিষয়ে কোনো কিছু তার বক্তব্যে বলেননি।  

অবশ্য প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথম আন্তর্জাতিক সফর সৌদি আরব দিয়েই শুরু করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সফর হয়েছিল গতবছর।

সৌদির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা দ্য সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, বাদশাহ সালমানের সঙ্গে ট্রাম্প বৈশ্বিক বাজারে তেল সরবরাহ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ব্যাপারে কথা বলেছিলেন সফরে।  

সৌদি আরব বিশ্বের শীর্ষ তেল রফতারিকারক দেশগুলোর মধ্যে একটি। এছাড়াও তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেকের অন্যতম নেতৃত্বদানকারীও এ দেশ। তেলের উচ্চমূল্যের জন্য ট্রাম্প এ সংস্থাটির সমালোচনাও করেছেন।

গত মাসে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ওপেক নিয়ে ট্রাম্প বলেন, তারা বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে প্রতারণা করছে।  

তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একের পর এক এমন বেফাঁস ও বিব্রতকর মন্তব্য করে বসলেও ওই অঞ্চলে ইসরায়েলের পর সৌদি আরবের সঙ্গেই ঘনিষ্ঠতা বেশি যুক্তরাষ্ট্রের। পর্যবেক্ষকদের মতে, পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে ইরানের আধিপত্য বিস্তার ঠেকাতে তাদের আঞ্চলিক বিরোধী সৌদির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র এই কৌশলী সম্পর্ক রেখে চলেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৮
এএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।