মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে তাকে ফোন করে জিজ্ঞেস করেছিলেন মোহাম্মদ বিন সালমান। তখন প্রেসিডেন্ট উত্তরে বলেছিলেন, দেখা যাক কি হয়।
গত মাসে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রখ্যাত সংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার পর এ দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন চলে আসছে। এরদোয়ান এ নিয়ে সৌদিকে দোষারোপও করে আসছেন শুরু থেকেই। অপরদিকে এ হত্যাকাণ্ডের জেরে কঠিন আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রয়েছে সৌদি। ঠিক এসময়ে এসে এরদোয়ানের সঙ্গে সৌদি যুবরাজের দেখা করতে চাওয়া আগ্রহ জন্মায় আন্তর্জাতিক মহলে। দেখা করে কী বলতে চান যুবরাজ- এ প্রশ্ন এখন যে কারও মাথায় আসতেই পারে।
গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে ব্যক্তিগত কাগজপত্র আনার প্রয়োজনে গেলে নিখোঁজ হয়ে যান সাংবাদিক খাশোগি। এ ঘটনার পর থেকে তুরস্ক দাবি করে আসছিল- সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরেই জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে।
প্রথম দিকে অস্বীকার করে নানা রকম কথা বললেও ঘটনার ১৭ দিন পর কনস্যুলেট ভবনের ভেতরে খাশোগি নিহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে সৌদি। তবে তারা দাবি করে, কনস্যুলেটরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মারামারি করে নিহত হন খাশোগি।
সৌদির ক্রাউন প্রিন্স সালমানের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে।
যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা-নির্বাসিত খাশোগি ছিলেন বাদশাহ-যুবরাজসহ সৌদি রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৮
টিএ