বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্যামুয়েলের স্বীকারোক্তির ওপর ভিত্তি করে গোয়েন্দারা ৩৪ জন ব্যক্তির খুনের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছেন। ১৯৭০ থেকে ২০০৫ সাল সময়ের মধ্যে খুন হওয়া আরও প্রায় ১২ জন নারীর খুনের সঙ্গেও স্যামুয়েল জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
২০১৪ সালে তিন নারী হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় স্যামুয়েলের। অবশ্য ২০১২ সাল থেকে দেশটির কারাগারে বন্দি আছেন এই অপরাধী। খুন ছাড়াও মাদক, ধর্ষণ ও সশস্ত্র ছিনতাইয়ের মতো গুরুতর মামলার আসামিও স্যামুয়েল।
এফবিআই’র এক প্রতিবেদনে স্যামুয়েলের হত্যার ধরন সম্পর্কে বলা হয়, ‘মৃত্যুর বিষয়টি যে আসলে একটি হত্যাকাণ্ড তার প্রমাণ সব সময় রেখে যেতেন না স্যামুয়েল। একসময়ের পেশাদার এই বক্সার শক্তিশালী ঘুষিতে তার টার্গেটকে আঘাত করতেন আর শেষে শ্বাসরোধ করে হত্যা করতেন। আঘাত বা বুলেটের চিহ্ন না থাকায় অনেক সময়ই এসব মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে শনাক্ত করা যেতো না। বরং মনে করা হতো যে, মৃত ব্যক্তির হয়তো অতিরিক্ত মাদক গ্রহণ, দুর্ঘটনা অথবা প্রাকৃতিক কারণে মৃত্য হয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৮
এসএইচএস/এএ