সোমবার (৩ ডিসেম্বর) এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী সাদ শেরিদা আল-কাবি।
সংবাদ সম্মেলনে কাতারের জ্বালানিমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন ও রফতানি আরও বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিচ্ছি।
এছাড়া দেশটির রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি কাতার পেট্রোলিয়াম এ বিষয়ে টুইট করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ১ জানুয়ারিতে তারা ওপেক ত্যাগ করছে।
আগামী ৬ ডিসেম্বর অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় আসন্ন ওপেক সম্মেলনের আগে কাতারের কাছ থেকে এমন সিদ্ধান্ত আসলো।
তেল রফতানিকারক শীর্ষ ১৫টি দেশ নিয়ে ওপেক গঠিত। ১৯৬১ সালে ওপেকের সদস্য হয়েছিল কাতার।
তেল রফতানিকারক দেশগুলোর মধ্য থেকে কাতারই প্রথম ওপেক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো।
বিশ্বে মোট যে পরিমাণ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানি হয় তার মধ্যে কাতার একাই সরবরাহ করে মোট চাহিদার শতকরা প্রায় ৩০ ভাগ। তবে ওপেক শুধু অশোধিত তেলের উত্তোলন দেখাশোনা করে। সৌদি ও ইরাক এক্ষেত্রে তেল উৎপাদনকারী সবচেয়ে বড় দেশ।
ওপেকের মূল নেতৃত্বও রয়েছে সৌদি আরবের হাতে। সৌদিসহ প্রতিবেশী আরও কয়েকটি দেশ প্রায় দেড় বছর ধরে কাতারের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় কাতার তার গ্যাস উত্তোলন বৃদ্ধি করেছে।
দেশগুলো মনে করছেন, তাদের তুলনায় এই খাতে কাতারের অবদান ছিল সামান্য। ওপেকভুক্ত সদস্যরা প্রতিদিন ২ কোটি ৫০ লাখ ব্যারেল তেল উত্তোলন করে। সেখানে কাতার প্রতিদিন উত্তোলন করে প্রায় ৬ লাখ ব্যারেল।
দুবাইভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কমর এনার্জির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রবিন মিলস বলেন, কাতার তেল উৎপাদনে ক্ষুদ্র একটি দেশ। তাদের এই সিদ্ধান্ত বড় করে দেখার কিছু নেই। তবে বিষয়টি ওপেকের জন্য দুঃখজনক।
বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৮
এপি/আরআর