সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) মার্কিন সিনেট প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটেশনাল প্রোপাগান্ডা প্রজেক্ট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশ্লেষণী প্রতিষ্ঠান গ্রাফিকা যৌথভাবে এই গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করে।
তারা বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেছিল রাশিয়া।
মার্কিন সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটিতে জমা দেওয়া ফেসবুক, টুইটার ও গুগলের লাখ লাখ পোস্ট নিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্লেষণ করে এই গবেষণা পরিচালন হয়।
প্রতিবেদন বলছে, ফেসবুক-টুইটারের পাশাপাশি ইউটিউব, টাম্বলার, ইনস্টাগ্রাম এবং পেপালের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছিল রাশিয়া।
অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইন্সটিটিউটের পরিচালক ফিলিপ হাওয়ার্ড বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রায় পুরো পরিবারটিকেই ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের মনে হয়, পুরো প্রচারণাকে মানুষের সামনে বৈধ করে তুলতেই এ কাজ করা হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রুশ সংশ্লিষ্টতা গোপন রাখতে একটি ট্রল ফার্মের মাধ্যমে এসব প্রচারণা চালানো হয়। অভিবাসন, জাতিগত শ্রেণীবিন্যাস এবং অস্ত্র অধিকারের মতো বিষয় ছিল প্রচারণার মূল হাতিয়ার।
আর এসব প্রচারণা নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফায়দা দিতেই করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে সাফ জানানো হয়।
একইসঙ্গে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারায় সমালোচনা করা হয়েছে সামাজিক মাধ্যমগুলোর।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮
এসএইচএস/টিএ